এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট বিভাগে পানি নামছে ধীরগতিতে, ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষতচিত্র

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ০৭ জুলাই, রবিবার, ২০২৪ ০১:০৫:১৪

যুগভেরী ডেস্ক ::: দুই দিন ধরে সিলেট ও সুনামগঞ্জে তেমন বৃষ্টি হচ্ছে না। ধীরগতিতে হলেও পানি নামতে শুরু করেছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে, ভোগান্তি ততই বাড়ছে।

এদিকে ধীরগতিতে হলেও পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ভয়াবহতার চিত্র। খাবার ও ত্রাণ সংকটের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত নিয়েও দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। বেশিরভাগ এলাকায় এখনও পানি থাকায় নিরূপণ করা যাচ্ছে না বন্যার ক্ষয়ক্ষতিও। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন তাঁরা। তবে পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছেন না।

এক মাসের মধ্যে তিন দফা বন্যায় লন্ডভন্ড সিলেটের ১৩ উপজেলা। দুর্গতদের সহায়তার পাশাপাশি পুনর্বাসনের আশ্বাস স্থানীয় সংসদ সদস্যের। সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট জেলা পুনর্বাসন উন্নয়ন প্রকল্প এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান প্রকৌশলীর কাছে পাঠানো হয়েছে। কাজ চলছে।’

এদিকে, বন্যায় পুরো সুনামগঞ্জ জেলায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রত্যন্ত অনেক এলাকায় সড়কে পায়ে হাঁটাও কঠিন হয়ে পড়েছে। অসুস্থ, বৃদ্ধ ও শিশুদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, দুই বছর আগে ভয়াবহ বন্যার ক্ষতই এখনও রয়েছে বেশিরভাগ সড়কে। এর মধ্যেই এবারের ৩ দফা বন্যায় পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ঠিক করতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানান এলজিইডি কর্মকর্তারা। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ফ্লাড ২০২২ নামে একটা প্রজেক্ট আছে। সেটার অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে সংস্কার কাজ শুরু হবে।’

বিভিন্ন এলাকায় এখনও পানি থাকায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যায়নি। তবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তার আশ্বাস স্থানীয় প্রশাসনের।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন