
যুগভেরী ডেস্ক ::: সিলেট-ঢাকা রুটে দিনে ৪ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চললেও ১০দিনের পূর্বে থেকেই পাওয়া যায়না একটাও টিকেট, বরং ওয়েবসাইটে টিকেট রিলিজ হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই হাজার হাজার টিকেট রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায়। ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে নতুন কোন ট্রেন নেই এই রুটে, উল্টো মেইল/লোকাল বন্ধ করে আন্তঃনগর ট্রেবগুলোকে লোকাল বানিয়ে ফেলেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দেশের অন্যান্য রুটে নতুন নতুন ট্রেন চালু করলেও সিলেটের বেলায় চরম উদাসীনতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে। ঐদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের 6-লেনের কাজ চলমান থাকায় প্রতিদিনই যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সিলেটবাসীকে। বাস-কার দিয়ে রাজধানী যেতে কখন কতসময় লাগে তার কোনো নির্দিষ্টতা নেই। কখনো ৭-৮ ঘন্টা, কখনো ১০-১২ ঘন্টা, কখনো ১৪-১৫ ঘন্টাও লেগে যায়। সেইসাথে রাস্তার বেশ সরু হওয়ায় প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতে হয়। মহাসড়কের অসহ্যনীয় ভোগান্তি এড়াতে মানুষ ট্রেনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে, ফলে নরপিশাচরাও কোমর বেঁধে নেমেছে টিকেট সিন্ডিকেটে। সিলেটবাসীর এই ভোগান্তির শেষ কোথায়, সেটা প্রেডিক্ট করা প্রায় অসম্ভব। সিলেট রুটে বর্তমানে সব ট্রেন এয়ারব্রেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলাচল করছে। তবে কুলাউড়া স্টেশনে লোকোশেডে রাখা ২৩ সিরিজের ইমারজেন্সি লোকোমোটিভ কার্যকরভাবে ব্যবহার হয় না। প্রায়শই আখাউড়া বা লাকসাম থেকে লোকোমোটিভ এনে উদ্ধার করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সমস্যাগুলো আরও প্রমাণ করে যে, রেলওয়ে ব্যবস্থাপনায় চরম উদাসীনতার দরুন ইচ্ছাকৃতভাবেই সিলেটবাসীকে পীড়িত করা হচ্ছে। সিলেটবাসীকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার আহবান জানান সচেতন মহল।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন