এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্ত সম্পদে অবৈধ দখল পর্যবেক্ষণে ম্যাজিস্ট্রেট ও অপারেশন টিম

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ২৭ নভেম্বর, বুধবার, ২০২৪ ২২:০৮:৩০
সিলেট তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্ত সম্পদে অবৈধ দখল পর্যবেক্ষণে ম্যাজিস্ট্রেট ও অপারেশন টিম

 যুগভেরী ডেস্ক ::: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত ম্যাজিস্ট্রেট ও অপারেশন টিম তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্ত সম্পত্তির উপর অবৈধভাবে দখলকৃত স্থাপনা পর্যবেক্ষণ করেছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে এ সকল অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে উচ্ছেদের বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পর্যবেক্ষণ করেন তারা।

পর্যবেক্ষণ শেষে জবরদখলে থাকা দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধারে নতুনভাবে অতি দ্রুত তালিকা তৈরি করা হবে বলে জানান । তাছাড়াও অবৈধ দখলের হাত থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে তারাপুর চা-বাগানের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরসহ বাগানের সকল উন্নয়নমূলক কাজ তথা তারাপুর চা-বাগানের আয়ের উদ্দেশ্যে নির্মিত দোকান কোটা তৈরিতে বাধা দানকারী ও বাগানের সার্বিক পরিস্থিতি সরজমিনে দেখার জন্য বাগান পরিদর্শন করেছেন।

পর্যবেক্ষণে উপস্থিত ছিলেন এডিসি রেভিনিউ, সরহকারি কমিশনার ভূমি সদর, সরকারি কমিশনার ভূমি মহানগর, ইউনিয়ন ভূমি সরকারী কর্মকর্তা, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, তারাপুর চা-বাগানের ম্যানেজার, জালালাবাদ থানা, এয়ারপোর্ট থানা এবং কোতোয়ালি থানা কর্মকর্তাবৃন্দসহ আরো অনেকে।

উল্লেখ্য সিলেটের আলোচিত তারাপুর চা বাগানের শতকোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধভাবে স্থাপনা বানিয়ে দখল করে আছে একাধিক ব্যক্তি। এসকল ভূমিখেকোরা বিভিন্ন সময় পৈতৃক সম্পত্তির মালিক সেজে ওই সম্পদ অন্যের কাছে বিক্রিও করেছে। তারাপুর চা- বাগানের পার্শ্ববর্তী বড়গুল এলাকার পোয়াইন টিলা ওরফে পোয়াং টিলা নামের ওই সম্পত্তির দখল ঠেকিয়ে রাখতে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান ও বেশ কিছু বসতবাড়ি। ভিন্ন দাগ ও চা বাগান এলাকা থেকে দূরে হওয়ায় সেখানে ভিন্ন ভিন্ন মালিক ও দখলদারের দৌরাত্ম্য অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যেই এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বাগান কতৃপক্ষ।

বাগান ম্যানেজার রিংকু চক্রবর্তী বলেন, তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্ত সম্পদের দলিল অনুযায়ী প্রায় ৫০০ একর জায়গা রয়েছে। ২০১৬ সালের একটি ডকুমেন্টস অনুযায়ী দেখা যায় ৩২৩.০৮ একর জায়গা। এখন বর্তমানে তারাপুর চা-বাগানের ১৩০ একর জায়গা আমরা বাগান কতৃপক্ষ ধরে রাখতে পেরেছি বাকি জায়গা সকলই অবৈধ দখলে রয়েছে। আমরা প্রশাসনকে নিয়ে একাধিক জায়গা দখল মুক্ত করলে পরবর্তীতে দেখা যায় দখলদাররা আবার অবৈধ স্থপনা গড়ে তোলেন। আগামীতে প্রশাসন দেবোত্তর সম্পদে অবৈধ দখলবাজদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিবেন বলে প্রশাসন জানায়।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন