এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

অধিক উৎপাদনশীল জাতের বীজ উদ্ভাবনে কৃষিবিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে: রাষ্ট্রপতি

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি, সোমবার, ২০২৪ ০৩:০৩:৪৪
অধিক উৎপাদনশীল জাতের বীজ উদ্ভাবনে কৃষিবিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে: রাষ্ট্রপতি

যুগভেরী ডেস্ক ::: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, অধিক উৎপাদনশীল জাতের বীজ উদ্ভাবনে কৃষিবিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।   তিনি ‘কৃষিবিদ দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে ১২ ফেব্রুয়ারি এক বাণীতে এ কথা বলেন।  আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষ্যে দেশের সকল কৃষিবিদকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, কৃষিই বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির প্রাণ। মানব সভ্যতার সৃষ্টি থেকেই মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে স্বাধীনোত্তরকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি শিক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও কৃষির উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকুরিতে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও কৃষির উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাধীন দেশের প্রথম বাজেটে কৃষিখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেখেছিলেন। জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষির সার্বিক উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। ফলশ্রুতিতে ‘আমরা এখন দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ’। পাশাপাশি শাকসবজি ও ফলমূলসহ মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম ইত্যাদির ব্যাপক উৎপাদন জাতীয় পর্যায়ে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ফলে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করেও কৃষিজাত পণ্য বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মাথাপিছু জমির পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, এই চাহিদা পূরণে কৃষি বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের বীজ উদ্ভাবন, উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ উৎপাদনে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়া, কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষক ও খামারিসহ সকলকে সচেতন হতে হবে। কৃষি ব্যবস্থাপনায় আধুনিক যন্ত্রপাতি তথা কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং লাভজনক কৃষিতে রূপান্তরের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, কৃষিবিদরা তাদের জ্ঞান, মেধা ও শ্রম দিয়ে ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে কার্যকর অবদান রাখবেন।
রাষ্ট্রপতি ‘কৃষিবিদ দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত অনুষ্ঠানমালার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন