নিজস্ব সংবাদদাতা, ছাতক
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় আগামী ২৯ মে ভোট গ্রহণ হবে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ প্রার্থী; সবাই আওয়ামী লীগ নেতা। তাদের মধ্যে অর্থসম্পদে এগিয়ে আছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম কিরণ। আর অর্থসম্পদে সবার চেয়ে পিছিয়ে উপজেলা পরিষদের দু’বারের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাদাত মোহাম্মদ লাহিন মিয়া। নির্বাচন অফিসে দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
হলফনামা অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে রফিকুল ইসলাম কিরণের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা রয়েছে। তাঁর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। তাঁর অকৃষিজমি রয়েছে ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ টাকার। তিনি একটি টিনশেড ঘর ও দোতলা ভবনের মূল্য দেখিয়েছেন ৬৪ লাখ টাকা। কিরণের একটি গাড়ি রয়েছে, যার মূল্য ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৫২৩ টাকা। আসবাব ও ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দাম দেখিয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আওলাদ আলী রেজার ব্যবসা থেকে বছরে আয় হয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তাঁর নগদ টাকা আছে ২ লাখ ৮০ হাজার এবং ব্যাংকে জমা ৫০ হাজার। আওলাদের ১০ বিঘা কৃষিজমি এবং চারতলা মার্কেট রয়েছে। এ ছাড়া ৭ দশমিক ৫ শতক জমির ওপর একটি দোতলা বাড়ি রয়েছে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদ আলী প্রবাস থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৩ লাখ টাকা। তাঁর নগদ টাকা রয়েছে ৬ লাখ ৮০ হাজার এবং স্বর্ণালংকার রয়েছে ৫ ভরি। তিনি আসবাব ও ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্য দেখিয়েছেন দেড় লাখ টাকা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আমজাদ আলীর বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে বছরে আয় হয় ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা এবং কৃষি খাত থেকে আয় ৫৫ হাজার টাকা। তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ ২১ লাখ ৫০ হাজার। বৈবাহিক সূত্রে পাওয়া ১০ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। আসবাব ও ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্য দেখিয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তাঁর কৃষিজমি রয়েছে ৫৫ লাখ ১৭ হাজার টাকার।
আবু সাদাত মোহাম্মদ লাহিন মিয়া কৃষি খাত থেকে বছরে আয় করেন ১৫ হাজার টাকা। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পান ৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। তাঁর অন্যান্য খাত থেকে আয় ২০ হাজার টাকা। লাহিন মিয়ার নগদ টাকা রয়েছে ২০ হাজার এবং স্বর্ণালংকার রয়েছে ৫০ হাজার টাকার। আসবাব ও ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্য দেখিয়েছেন ৭০ হাজার টাকা। তাঁর ব্যবসায়িক পুঁজি ৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন