
যুগভেরী ডেস্ক ::: বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ যেনো আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর হয়। আজকে যাদের বয়স খুব কম, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, তার ভবিষ্যৎ, তার চিন্তা, তার জন্য বাংলাদেশ। নবীন-প্রবীণ সবার সমন্বয়ে এই বাংলাদেশটাকে সুন্দর করাই হলো আমাদের লক্ষ্য। তিনি শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে সিলেটের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের নার্সদের সাথে নিজ বাস ভবনে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
খন্দকার মুক্তাদির বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই, এই বাংলাদেশ একটা স্বাভাবিক রাজনীতি, সামাজিক সমাজ ব্যবস্থা, একটা নতুন সুশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি, সৌহার্দ নিয়ে আসতে হবে। যেখানে হানাহানি, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসার ঊর্দ্ধে উঠে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের এগিয়ে যেতে পারি। একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়াতে পারি। ৩১ দফা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির সামনে যে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছিলেন, কমবেশি আপনারা সবাই তার সঙ্গে খুব বেশি সুপরিচিত। অনলাইনে, পত্রিকায় এবং বিভিন্নভাবে আপনারা জেনেছেন, শুনেছেন এবং আপনারা আপনাদের মত করে তৃণমূল পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করছেন। খুব বেশি প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রাষ্ট্রটি মেরামত করার জন্য।
সংস্কার বিষয়ে খন্দকার মুক্তাদির বলেন, রাতের অন্ধকারে যখন নির্বাচন হলো। ওই নির্বাচনের আগে ফ্যাসিস্ট এর প্রধান যখন সবাইকে আশ্বস্ত করল যে আমার উপর আশা, ভরসা ও আস্থা রাখেন, তখনই তারেক রহমান তার নিজস্ব চিন্তা ও ধারণা থেকে তিনি এ দেশে কিভাবে একটা সু-শাসন নিয়ে আসা যায়। রাজনীতিকে সংস্কারের প্রয়োজন। তিনি আরোও বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফার কারণে তাকে বলা হতো আধুনিক রাজনীতির স্থপতি। বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ বলতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া। গণমানুষের দলে পরিণত হওয়া। খুব অল্প সময়ে, মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে বিএনপির সঙ্গে গণমানুষের সম্পর্ক সেটি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেজা জিয়া আপোষহীন নেত্রী ছিলেন বলেই পরবর্তীতে তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নর্থ ইষ্ট নার্সিং কলেজের নার্সিং ইন্সটাক্টর দিলোয়ার হুসেন, ফেরদৌস আহমেদ হৃদয়, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম এবং বিপ্লব আহমেদ, উইমেন্স মেডিকেল হাসপাতালে কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ, নর্থ ইষ্ট নার্সিং কলেজের বিএসসিইন নার্সিং ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্সের ছাত্র আশারাফুজ্জামান শান্ত , আলফা সানি, আব্দুর রহমান রিপন, উসমান গনি তুহিন, মৃণাল কান্তি মিল্টন, রিমন, আবু সুফিয়ান, অয়ন দাস, রবিন মিয়া, মুসফিক আহমেদ, নাফি হোসাইন, বিকাশ সরকার, হৃদয় শিকদার, শামছুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, আবু তালহা সাজু, মাকিন আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, সালমান আহমদ, অমিত, সিয়াম, আতিক, মাসুদ, শান্ত, ফাহিম, বিকাশ, রিদয় সরকার, রাহুল, তুহিন, ফাহাদ, শুভ, আল আমিন নার্সিং কলেজর ছাত্র অনিক চন্দ, তুষার, দেবরাজ, রবিউল আউয়াল, শুভ, রাহিম আহমেদ, হিমেল আহমেদ, মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, মোহাম্মদ রাফি, সীমান্তিক নার্সিং ইন্সটিটিউটের অয়ন প্রমুখ্।-বিজ্ঞপ্তি
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন