এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

৫০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া : বাংলাদেশকে সতর্ক করলো আদানি

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার, ২০২৪ ০১:১০:৫৮
৫০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া : বাংলাদেশকে সতর্ক করলো আদানি

যুগভেরী ডেস্ক ::: বিদ্যুৎ প্রকল্পে বাড়ছে বকেয়া।  এ বিষয়ে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করলো বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানি-এর নেতৃত্বাধীন আদানি গ্রুপ। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের কাছে আদানি গ্রুপের বকেয়া ৫০০ মিলিয়ন ডলার। আদানি পরিস্থিতিটিকে ‘অস্থিতিশীল’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এই অর্থ প্রদানের ঘাটতি ইউনূসের প্রশাসনের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গত মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে। ইউনূসের সরকার হাসিনার অধীনে ব্যয়বহুল অবকাঠামো চুক্তির সমালোচনা করেছে, যার মধ্যে ভারতে তার ১৬০০ মেগাওয়াট গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আদানির সঙ্গে বিতর্কিত চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আদানি পাওয়ার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছে, বকেয়া জমতে থাকলেও বাংলাদেশকে চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। আদানি গ্রুপ জানিয়েছে- ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত সংলাপ চালাচ্ছি এবং এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা অবগত। আমরা কেবল আমাদের সরবরাহের প্রতিশ্রুতিই পূরণ করছি না বরং ক্রমবর্ধমান প্রাপ্যতা সত্ত্বেও আমাদের ঋণদাতা এবং সরবরাহকারীদের প্রতি প্রতিশ্রুতি পূরণ করছি’।

আর্থিক চাপের জেরে বৃহত্তর জ্বালানি সংকটের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ, যেখানে মোট বিদ্যুৎ-সম্পর্কিত ঋণ ৩.৭ বিলিয়নে পৌঁছেছে।

ইউনূসের জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন যে, আদানির কাছে বাংলাদেশের ৮০ কোটি ডলার ঋণের মধ্যে ৪৯২ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার তার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছে আর্থিক সহায়তা চাইছে। সামপ্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ দ্রুত প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে কিন্তু অভ্যন্তরীণ গ্যাসের মজুত হ্রাসের কারণে দীর্ঘস্থায়ী শক্তির ঘাটতির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সমালোচকরা উল্লেখ করেছেন যে, পূর্ববর্তী প্রশাসনের গৃহীত ব্যবস্থাগুলো, যেমন টেন্ডারিং প্রক্রিয়াগুলোকে বাইপাস করা, ব্যাপক দুর্নীতি এবং অদক্ষতা এর পেছনে অবদান রেখেছে। আদানি, সমপ্রতি ঘোষিত ১০ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট সহ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইউনূস প্রশাসন পূর্ববর্তী জ্বালানি চুক্তিগুলো পুনর্মূল্যায়ন করার ইঙ্গিত দিয়েছে, যার লক্ষ্য প্রতিযোগিতামূলক বিডিং পুনরায় চালু হবে এবং নিয়ন্ত্রক তদারকি জোরদার করা হবে। আর্থিক চাপ সত্ত্বেও, আদানি জোর দিয়ে বলেছে যে, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। কোম্পানি বলেছে- ‘বর্তমানে আমাদের গোড্ডা প্ল্যান্ট ভারতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত নয় এবং তাই কোনো বিকল্প বাজার খোঁজার প্রশ্নই আসে না।’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার, চুক্তির শর্তগুলো পুনঃআলোচনা করার সময়, ভারত ও চীন উভয়ের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে যে, ভবিষ্যতের অবকাঠামো চুক্তিগুলো অবশ্যই সাশ্রয়ী এবং স্বচ্ছ হতে হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন