এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ‘মান রক্ষার’ লড়াই

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১৬ মে, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ ০২:২৪:৪৭
সিলেটে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ‘মান রক্ষার’ লড়াই

যুগভেরী রিপোর্ট : মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল হোসেন এবারও প্রার্থী। তিনি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। শক্তিশালী এই প্রার্থী তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী তাজুল ইসলাম তাজকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। নানা কারণে আলোচিত তাজের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল কামাল হোসেনের অভিযোগে। পরে আদালতের নিদেশে মনোনয়ন ফিরে পান তাজ। সেই ইস্যু নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন তিনি। এ ছাড়া তাজের পক্ষে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর (প্রয়াত) বলয়ের কর্মীরা। এ অবস্থায় কামাল হোসেন ‘মান রক্ষার’ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।   এদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শামীমের সঙ্গে লড়ছেন শক্তিশালী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন।  সূত্র জানায়, মজির উদ্দিনের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফতাব আলী কালা মিয়াসহ দলের বড় একটি অংশ রয়েছে। শামীমের সঙ্গেও প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল অদুদ আলফু মিয়াসহ আরেকটি অংশ কাজ করছে।   সিলেটের আরেক উপজেলা জৈন্তাপুরে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীসহ পাঁচ প্রার্থী মাঠে ছিলেন। দলের শীষ দুই নেতার মধ্যে গত নির্বাচনেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। গত ৭ মে স্থানীয়ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান কামাল। ফলে শুরু হয় মেরূকরণ। কামাল শারীরিকভাবে অসুস্থ ও পারিবারিক সমস্যার কথা জানালেও নেপথ্যে অন্য এক প্রার্থীকে সমর্থন করে সরে দাঁড়ান বলে জানা গেছে। এবার বিজয় চান দাবি করে লিয়াকত আলী বলেন, অতীতে অনেক ভোট পেয়েছি। আশা করি, এবার আরও বেশি পাব।
দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট ছাড়াও বিভাগের সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন হবে ২১ মে। ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার এখন তুঙ্গে। ১১ উপজেলার মধ্যে সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় ২০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী লড়ছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই শক্তিশালী ও প্রভাবশালী। ধর্মপাশায় আওয়ামী লীগের পাঁচ প্রার্থীই মূল আকর্ষণ হয়ে উঠছেন। এ ছাড়া তাহিরপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হোসেন খান, বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন, ধর্মপাশায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসরিন সুলতানা দীপা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, বিশ্বম্ভরপুরে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা হারুন উর রশিদ নিজের অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
গোয়াইনঘাটে বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারুক আহমদ ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা শাহ আলম স্বপন উভয়ই প্রভাবশালী। স্বপনের মনোনয়ন বাতিল হলে অনেকটাই নির্ভার ছিলেন ফারুক। কিন্তু পরে মনোনয়ন ফিরে পান তিনি।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন