এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

বড়চতুল ইউনিয়নে মসজিদের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আরেকজনের মৃত্যু

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ২৯ এপ্রিল, সোমবার, ২০২৪ ১৪:৪৭:০৬
বড়চতুল ইউনিয়নে মসজিদের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আরেকজনের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কানাইঘাট :: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল মাঝবড়াই গ্রামের জামে মসজিদের সীমানার বিরোধের জের ধরে গত ২২ এপ্রিল সংঘর্ষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত দুবাই প্রবাসী ছয়ফুল্লাহ রবিবার সকাল ৭টার দিকে মৃত্যু বরণ করেছেন।  ঘটনার দিন সংঘর্ষে তার আপন ছোট ভাই সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন নিহত হন। আপন বড় ভাই ও ভাতিজাদের হাতে ঘটনার দিন ছোট ভাই জয়নাল আবেদীন এবং ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বড় ভাই ছয়ফুল্লাহ (৬০) মারা যান।  অপরদিকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন ছয়ফুল্লাহ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় দুশ্চিন্তায় তার পুত্রবধূ এক সন্তানের জননী রুমানা বেগম (২৫) শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।  হামলার ঘটনায় দুই ভাই নিহতের পর তাদের শোকে পুত্রবধূ আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী রুমানা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ছয়ফুল্লাহ’র পুত্রবধূ। সংঘর্ষের ঘটনায় হারাতৈল মাঝবড়াই গ্রামের মৃত আছদ আলীর পুত্র নিহত ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীনের পুত্র মো. কামরুজ্জামান মুসা বাদী হয়ে আপন চাচা সমছুল হক ও চাচাতো ভাই আলমাছ উদ্দিন, কামাল আহমদ, সুহেল আহমদ, রুহুল আহমদ সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামী করে কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।  মামলার আসামী আপন চাচা সমছুল হক ও তার দুই ছেলে সুহেল আহমদ ও কামাল আহমদকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও জোড়া খুনের ঘাতক আলমাছ উদ্দিন সহ অপর আসামীদের এখন পর্যন্ত থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া গুরুতর আহত ছয়ফুল্লাহ’র লাশ ময়না তদন্তের পর তার পরিবারের কাছে আগামীকাল সোমবার হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ওসি (তদন্ত) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান সিওমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়ফুল্লাহ’র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  প্রসঙ্গত, গত সোমবার মসজিদের সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপন বড় ভাই সমছুল হক ও ভাতিজা আলমাছ, সুহেল, কামাল, রুহুল সহ আরো কয়েকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জয়নাল আবেদীনকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে প্রাণে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আপন বড় ভাই ওমান প্রবাসী আব্দুল্লাহ (৫৭) ও অপর ভাই দুবাই প্রবাসী ছয়ফুল্লাহ (৬০) সহ আরো ২ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে জয়নাল আবেদীনের মৃত্যু হয়। আশংকাজনক অবস্থায় তার অপর দুই ভাই আব্দুল্লাহ ও ছয়ফুল্লাহ সিওমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল সকালে ছয়ফুল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন