নিজস্ব সংবাদদাতা, আজমিরীগঞ্জ
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে আজমিরীগঞ্জ-পাহারপুর সড়কের প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার সড়কটি খানাখন্দে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে সড়কটিতে চলাচল করছে যাত্রী ও মালবাহী বিভিন্ন যানবাহন। আর এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
উপজেলা সদরের সাথে বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর, কাটাখালির যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি দিয়ে বদলপুর ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন উপজেলা সদরসহ জেলা সদর হয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে চলাচল করেন।
কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় সড়কটির খানাখন্দের কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সড়কটি ব্যবহারকারী অন্তত ২০ হাজারের বেশী মানুষ।
সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বলছেন, ছয় কিলোমিটার সড়কটি মেরামতের জন্য কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি সুত্রে জানা গেছে, আজমিরীগঞ্জ মুন সিনেমা হলসংলগ্ন পাহারপুর রোডের শুরুর দুই কিলোমিটার সংস্কার করা হয়েছে। বদলপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটারের বেশী সড়ক মেরামতের বাকি রয়ে গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে ঢালাই উঠে পাথরের খোঁয়া বের হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন অংশের রড বের হয়ে আছে। সেই সড়কেই ঝুকি নিয়ে যানবাহনে চলাচল করছেন এলাকার মানুষ।
সিএনজি চালক আলী হায়দার বলেন, এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়তই হিলালপুর, পিরোজপুর , বদলপুর, কাটাখালি ও পাহারপুর বাজারে যাত্রী নিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। খানাখন্দের কারনে এই রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় আমাদের। এছাড়া প্রায়ই নষ্ট হয় যানবাহনের যন্ত্রাংশ।
সড়কটি ব্যবহারকারী সুমেন্দ্র দাস, হরি দাস ,মুজিবুর মিয়ার সহ একাধিক ভুক্তভোগী জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিনই আজমিরীগঞ্জ সদরে স্কুল, কলেজে যাওয়া আসা সহ বিভিন্ন কাজে উপজেলা সদর, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং জেলা সদরে আসা যাওয়া করতে হয়। কিন্তু সড়কটির বেহাল দশার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে রোগী ও গর্ভকালীন জটিলতায় কোন প্রসুতিকে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে রোগীদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ তানজির উল্লাহ সিদ্দিকি বলেন, সড়কটিতে গত কিছুদিন পূর্বে সড়কটির আজমিরীগঞ্জ অংশের শুরু থেকে ২ হাজার মিটার সংস্কার করা হয়েছে। বাকী ৬ হাজার ৬ শত মিটার ভাঙ্গা সড়ক মেরামতের জন্য জিওবি মেরামতের আওতায় ২ কোটি ২০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলেই আমরা সড়কটি সংস্কার শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন