
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছাত্রলীগের এক গ্রুপের কর্মীকে মারধর করেছে অপর গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এনিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে নৌকা মার্কার প্রার্থী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপির প্রচারনা শেষে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মুমিত আসুক চত্বরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বল গ্রুপের কর্মী ওয়াসিম আহমদকে মারধর করেন আলামিন গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
খবর পেয়ে ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বল গ্রুপের নেতাকর্মীরা আধুনিক হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন অপর দিকে কিছুটা দূরে আলামিন গ্রুপের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।
এ সময় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় আসা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান আধুনিক হাসপাতালে অবস্থান নেন। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতারা একত্রিত হয়ে সভা করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সরে যান।
আহত ওয়াসিম আহমদকে প্রথমে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতিতে সিলেট ওসমানি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর নৌকা মার্কার প্রচারনায় গিয়ে এই দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বল বলেন, ওয়াসিমকে আলামিনের লোকজন মেরেছে। তবে কেন মেরেছে তা জানি না।
এব্যাপারে আলামিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি।
ওয়াসিম আহমদের পিতা ফারুক মিয়া বলেন, আমার জমাকৃত ২ লক্ষ টাকা দিয়ে আমার ছেলেকে তার ফুফুর বাড়ি নিয়ে দেওয়ার জন্য রাত সাড়ে নয় টার দিকে পাঠিয়েছিলাম। রাস্তায় আলামিন, কামাল সহ কয়েকজন তাকে মারধর করে টাকা নিয়ে গেছে। ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে পারিনি তবে পুলিশ এসে দেখে গেছে। আমি মামলা করবো।
জুড়ী থানার ওসি এস এম মাইন উদ্দিন বলেন, তেমন কিছু হয়নি। কেউ অভিযোগ ও দেয় না।অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন