এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা টাঙ্গানোর দাবিতে মেয়র ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১২ জুন, বুধবার, ২০২৪ ১৮:২৪:৪২
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা টাঙ্গানোর দাবিতে মেয়র ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

যুগভেরী ডেস্ক :: সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিকস’র অঙ্গ সংগঠন সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ১২ জুন ২০২৪ বুধবার বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় সর্বসাধারণের পণ্য ক্রয় করার সুবিধার্থে খুচরা বিক্রির মূল্য তালিকা প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে টাঙ্গানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতীয় যুব দিবস-২০১০ এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ মুখতার আহমেদ তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নাজমুল হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফুজায়েল আহমদ, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমদ, সিলেট মহানগর কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রমজান আহমদ শাকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রাসেল, প্রচার সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু ও সমাজ সচেতন নাগরিকদের মধ্য থেকে মোঃ আব্দুর রহিম শাহ।

স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে মূল্য তালিকা টাঙ্গানো প্রতিটি পাইকারী ও খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজন। সিলেট মহানগরীর মুদির দোকান ও আড়তে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙ্গানো দেখা যায় না। গুটিকয়েক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তারিকা টাঙ্গানো থাকে, যা চোখে পড়ার মতো নয়। খুচরা ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা তাদের মর্জি মাফিক পণ্যের দাম আদায় করছেন। প্রতিটি দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙ্গিয়ে রাখা খুবই জরুরী। পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সরবরাহ এবং প্রতিটি পণ্য নির্ধারিত খুচরা মূল্যে বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের নৈতিক দায়িত্ব। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ ট্রেড লাইসেন্স অথবা নিবন্ধন সাময়িকভাবে বাতিল ও পণ্য বাজেয়াপ্ত করার বিধান রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে গিয়ে এক বিক্রয় কেন্দ্রের সাথে অন্য বিক্রয় কেন্দ্রের কেজি প্রতি মূল্যে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম ব্যবধান পাওয়া যায়। একই পণ্য দুই তিন সারিতে সাজিয়ে ভিন্ন মূল্য নির্ধারণ করে বিক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা। যা ক্রয় করতে গিয়ে মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্তরা চরম বিপাকের মধ্যে পড়তে হয়। ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছ থেকে যা ইচ্ছা তাই মূল্য হাকিয়ে পণ্য বিক্রি করছেন। এখনও বিভিন্ন এলাকায় ঠেলা বা ভ্যানগাড়িতে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন। তাদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে আপনার দৃঢ় হস্তক্ষেপ প্রযোজন। এরই মধ্যে ঈদুল আযহাকে উপলক্ষ্য করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অনাকাঙ্খিত মূল্যবূদ্ধিতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন! সাধারণতঃ খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রে যেকোনো পণ্যের মূল্য উঠানামা করলে তা বুঝায় কোনো উপায় নেই। সবধরণের ব্যবসায়ীরা পণ্যের মূল্য বাড়লে সে মূল্যে পণ্য বিক্রি করেন। কিন্তু পণ্যের মূল্য কমলে তা কখনো সেই মূল্যে বিক্রি করা হয় না। তাই ছোট-বড় নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে পণ্যের খুচরা বিক্রির মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি। সর্বসাধারণের পণ্য ক্রয় করার সুবিধার্থে খুচরা বিক্রির মূল্য তালিকা প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে টাঙ্গানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনার মর্জি হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন