এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সোনারগাঁওয়ে পর্যটন মেলায় ছাড়ের ছড়াছড়ি

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি, সোমবার, ২০২৪ ০৩:৫৭:২০
সোনারগাঁওয়ে পর্যটন মেলায় ছাড়ের ছড়াছড়ি

যুগভেরী ডেস্ক ::: দেশি-বিদেশি পর্যটক আনতে রাজধানীতে চলছে ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ মেলা ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন ছাড় আর প্যাকেজ নিয়ে পর্যটকদের আগ্রহী করে তুলছে মেলায় স্টল দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে জনপ্রতি ৫০ টাকা।

এবারের মেলায় দেশ-বিদেশের ৮০টির বেশি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা তাদের পণ্য ও সেবা উপস্থাপন করছে। এসব প্রতিষ্ঠান দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ মূল্যছাড়ও দিচ্ছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো পর্যটকদের জন্যে ছাড় নিয়ে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। সংস্থাটি মেলায় ‘পর্যটন ডিসকাউন্ট কার্ড’ নিয়ে এসেছে। ১০০ টাকা মূল্যের একবার ব্যবহারযোগ্য এই কার্ডে সংস্থাটির হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে ২০ শতাংশ ছাড়ে থাকা যাবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের উপব্যবস্থাপক (বিপণন) শেখ মেহদি হাসান বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের দেশজুড়ে এই ছয় মাস মেয়াদের ডিসকাউন্ট কার্ডটি বাজেট ট্রাভেলার, শিক্ষার্থী ও যারা অগ্রীম ট্যুর প্ল্যান করেন তাদের জন্য সহায়ক হবে।

এছাড়াও যারা সপরিবারে বেড়াতে চান এবং নারীদের জন্যও ভালো সুযোগ তৈরি করবে বলেও মনে করেন তিনি।

এদিকে সাইমন গ্লোবাল লিমিটেড, রুম চাই, প্রবাসী পল্লী গ্রুপের মতো বিভিন্ন পর্যটক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যেমন আছে। তেমনি নভোএয়ার, ইউএস বাংলা, বাংলাদেশ বিমান অংশ নিয়ে বিভিন্ন ছাড় দিচ্ছে পর্যটকদের।

আর গোল্ডস্টান্ড গ্রুপ কক্সবাজার ও কুয়াকাটা পর্যটক হোটেল খুলতে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ছাড়।

ক্রেতারা স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেখছিলেন। সাবিহা আলম নামে এক দর্শনার্থী বলেন, স্বামী-সন্তানকে নিয়ে মালদ্বীপ ঘুরতে যাব বলে মেলা ঘুরে দেখছি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অফার নিয়ে এসেছে যেকোনো একটা বেছে নেব।

মেলা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের সৌন্দর্যের কথা তুলে ধরতে হবে। মালদ্বীপের মতো দেশ এই কাজ সফলভাবে করলেও বাংলাদেশ এ ব্যাপারে পিছিয়ে আছে। নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত সংখ্যায় বিদেশি পর্যটক দেশে আসছেন না। তবে সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগের কিছু সফলতা আছে। দেশের ভেতরে অনেকেই এখন ঘুরতে যান। তবে বিদেশিদের আনতে পারলে দেশের অর্থনীতি বিকশিত হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ মনিটর ২০০২ সালে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ‘ঢাকা ট্রাভেল মার্ট’ চালু করে। এরপর প্রতিবছর এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা ট্রাভেল মার্টের ১৯তম আয়োজন এবারের মেলা।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন