এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

……………………………

সিলেটে মহাসপ্তমী থেকে শুরু হল দেবী দুর্গার মূল পূজা

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার, ২০২৫
সিলেটে মহাসপ্তমী থেকে শুরু হল দেবী দুর্গার মূল পূজা

যুগভেরী ডেস্ক ::: বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। সপ্তমী পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মূল পূজা। তবে মন্ডপে মন্ডপে ঢাকের বাদ্য, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খনাদ, উলুধ্বনি আর পুরোহিতের মন্ত্র পাঠে দেবীর ষষ্ঠী তিথিতে বোধন পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। গতকাল রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাষষ্ঠীর দিন বেলতলায় চণ্ডীপাঠ, কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পূজার প্রথম আনুষ্ঠানিকতা। যা শেষ হয় দেবীর আমন্ত্রণ, অধিবাস ও আরতি দিয়ে।

আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মহাসপ্তমী থেকেই মূল পূজা শুরু। শাস্ত্রীয় বিধান মেনে এদিন প্রতীকী কলাবউকে স্নান করিয়ে ঘট প্রতিস্থাপন করা হয়। এরপর দেবীকে মহাস্নান করানোর মধ্য দিয়ে সূচনা হয় সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা। স্নান শেষে চক্ষুদানের মাধ্যমে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর শুরু হয় পূজার মূল আচার।

ষোলো উপাদানে সম্পন্ন হয় সপ্তমীর এই পূজা। দিনভর চণ্ডীপাঠ ও মন্ত্রোচ্চারণের পাশাপাশি ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি দেবেন মায়ের চরণে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সপ্তমী তিথি থেকেই জাগ্রত হন দেবী দুর্গা। দশহাতে দমন করেন পৃথিবীর সব অমঙ্গল আর অশুভকে।

বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তিথি অনুযায়ী, আজ থেকেই দেবীর দুর্গার শক্তি স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে অবস্থান করবে। আর পূজার দশমীর দিন এ শক্তি মর্ত্যলোক থেকে ফিরে যাবে স্বর্গলোকে। প্রতীকী অর্থে যা দেবী দুর্গার আগমন ও গমন বলা হয়ে থাকে।

এ বছর দুর্গা মা মর্ত্যলোকে এসেছেন গজ বা হাতিতে চড়ে। আগমন উৎকৃষ্টতম বাহন গজ বা হাতি হওয়ায় এটি সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে। হিন্দুশাস্ত্রে এই আগমন অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত। এটি ভালো বৃষ্টিপাত, অধিক ফসল এবং দেশের সামগ্রিক সুখ ও শান্তি নিশ্চিত করে বলে মনে করা হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন