এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

……………………………

গুচ্ছগ্রাম প্রা: বি: শিক্ষকের ভূমিকা দেখামিল ইউএনও রতন কুমার অধিকারীকে

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ২৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার, ২০২৫
গুচ্ছগ্রাম প্রা: বি: শিক্ষকের ভূমিকা দেখামিল ইউএনও রতন কুমার অধিকারীকে

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি ::: শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড” এই প্রবাদটির মাধ্যমে বোঝানো হয় যে, শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি সঠিকভাবে দাঁড়াতে পারে না, উন্নতি করতে পারে না এবং দেশ ও সমাজের অগ্রগতি সম্ভব নয়।
বিবেককে সচল রাখে এবং মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে সাহায্য করে। প্রতিটি উপজেলার  নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রতিদিন ব্যস্ত সময় পার করেন। প্রশাসনিক কাজ, দাপ্তরিক সভা কিংবা উন্নয়ন প্রকল্প এসবই উপজেলা কিন্তু এবার সেই পরিচিত দৃশ্য ভেঙে ভিন্ন রূপে হাজির হলেন। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রতন কুমার অধিকারী। তিনি হঠাৎ করে শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে দেখামিল শিক্ষকের ভুমিকায়।

আজ(রবিবার) উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আকস্মিক পরিদর্শনে গেলে ইউএনও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে দেখা যায়। এ সময় তিনি অন্যান্য শ্রেণিকক্ষও ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রাণবন্ত আলোচনা মেতে উঠেন।

শিশুদের চোখে ছিলো এ যেন অন্যরকম ক্লাস! এসময় শিক্ষার্থীদের তাদের অনুভূতি জানান তারা , ইউএনও স্যার ক্লাসে এসে নানা প্রশ্ন করেছেন, মজার মজার গল্প বলেছেন এবং পড়া মনে রাখার সহজ কৌশল শিখিয়ে দিয়েছেন। শুধু পাঠদানই নয়-খাওয়া, ঘুম, পড়াশোনা, খেলাধুলা ও ইবাদতের বিষয়ে অভিভাবকের মতো পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তার বলেন, “ইউএনও স্যার আমাদের বিদ্যালয়ে এসে দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুদের পাঠদান করেছেন। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, আমরা শিক্ষকরা তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা বিষয়ে নতুন অনেক দিকনির্দেশনা পেয়েছি।” খুব ভালো লাগলো।

ইউএনওর অনুভূতি!
নিজ অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে রতন কুমার অধিকারী বলেন, বাচ্চাদের পড়াতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। শিক্ষাজ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার মতো আনন্দ আর কিছুতেই নেই। এতে শিক্ষার্থীদের শেখানোও হয়, আবার সরেজমিনে বিদ্যালয়ের সমস্যা চিহ্নিত করাও যায়।
তিনি আরও বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শিক্ষার বিকল্প নেই। সরকারি কর্মকর্তা ও দেশের একজন নাগরিক হিসেবে শিক্ষা খাতে অবদান রাখতে পারা আমার জন্য গর্বের বিষয়।
এ সময় সীমান্ত এলাকায় এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় স্থানীয় যুব সমাজের প্রশংসা করেন এবং বিদ্যালয়টি পরিচালনায় ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন