যুগভেরী ডেস্ক ::: দুই মাসের আন্দোলনে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়নি। গত ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করে স্বৈরাচার পতনের ভিত্তি তৈরি করেছে বিএনপি। যার ফল পাওয়া গেছে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে। ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জুলাই-২৪ বিপ্লবে চিকিৎসা সেবায় অবদানের জন্য চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর দরগা গেইট এলাকার একটি অভিজাত রেস্তরার হল রুমে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), সিলেট জেলা কর্তৃক এক আলোচনা সভা ও জুলাই-২৪ বিপ্লবে চিকিৎসা সেবায় অবদানের জন্য চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা: নাজমুল ইসলাম।
এসময় ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, অনেকে বলে ৫ আগস্ট হচ্ছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা, আমি বলি ৭ই নভেম্বর হচ্ছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৭ই নভেম্বর না হলে এই দেশটা থাকত কি না তাই প্রশ্ন ছিল। অতএব আমার দৃষ্টিতে দ্বিতীয় স্বাধীনতা ৭ই নভেম্বর। সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান এসেছিলেন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে। তবে তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর ছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, শিক্ষাখাত প্রতিটি খাতেই উনার অবদান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর শুরু হয়েছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে। যা বাংলাদেশের চালিকা শক্তির বড় একটি অংশ হিসেবে চলমান আছে। তিনি খাদ্যে সয়ংসম্পন্ন দেশ গড়ে তুলেছিলেন। আধুনিক রাষ্ট্রের কথা চিন্তা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আর এই চিন্তাই উনার জন্য কাল হয়েছিলো। ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর আমাদের সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তখন তারা ফাঁদে পা দেয়নি। কিন্তু আমাদের সৈনিকরা ২৫ ফেব্রুয়ারি দোসরদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন। যার ফলে ঘটে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটনা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ড্যাবের সিনিয়র সহ সভাপতি ডা: সেলিম, সহ সভাপতি ডা: শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী,সহ সভাপতি ডা: শামীমুর রহমান,কোষাধ্যক্ষ ডা: জহিরুল ইসলাম শাকিল,সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা: মেহেদী হাসান।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ড. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির , আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা ড্যাবের সহ সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু সাকিব মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী এবং জেলা ড্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আহমেদ নাফী।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন