এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জ্বালানি ও বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদারে ইউনূস-ওলি আলোচনা

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ২৬ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ ১৩:০১:৩৬
জ্বালানি ও বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদারে ইউনূস-ওলি আলোচনা

যুগভেরী ডেস্ক ::: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জ্বালানি, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোদারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সময় বুধবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয় নেতা এ সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। একইসঙ্গে দুই নেতা বাংলাদেশে নেপালি শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কথা স্বীকার করেন।

 

নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দেখা করে আমি আনন্দিত। তার সাথে আমার নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময়ে জ্বালানি ও ট্রানজিট সহযোগিতা, পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, শিক্ষাগত সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতার ওপর নজর দেয়া হয়।’

বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস ও কে পি শর্মা ওলির মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক হয়েছে।

তিনি বলেন, বৈঠকে তারা ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও বাণিজ্য সহযোগিতা কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

প্রেস সচিব বলেন, নেপালের জলবিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত রয়েছে এবং তারা দুই-তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জলবিদ্যুৎ রপ্তানিতে সক্ষম হবে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি দীর্ঘ ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং দুই প্রতিবেশী দেশের জনগণের মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।

অনেক নেপালি শিক্ষার্থী প্রতি বছর বাংলাদেশে পড়াশোনা করতে আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং ওলি বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জ্বালানি, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ সম্ভবত নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।

শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার থ্রি জিরো আইডিয়া শেয়ার করেছেন।

অধ্যাপক ইউনূস ইউএসএআইডি প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনার ভলকার তুর্ক, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সিইও মার্ক সুজমানের সঙ্গে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে সাক্ষাৎ করেছেন।

 

সংস্কারের জন্য বাংলাদেশকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ খুলতে চাই : ড. ইউনূস
কে এই জাহিন রাজিন? মাহফুজ-তিথির সঙ্গে কীভাবে তিনি মঞ্চে এলেন?
তিনি সামাজিক ব্যবসা, যুব ও প্রযুক্তি বিষয়ক জাতিসংঘের একটি উচ্চ-পর্যায়ের ইভেন্টে ভাষণ দেন এবং মানবাধিকার বিষয়ক সিএসও-এর একটি গ্রুপের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

এ ছাড়া তিনি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি আলোচনায় যোগ দেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন