এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার : ভাসুর পলাতক

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ০২ জুন, রবিবার, ২০২৪ ০৫:১০:২২
গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার : ভাসুর পলাতক

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোয়াইনঘাট
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানাপুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের দেড়িখাই গ্রামের বাসিন্দা আরব-আমিরাত প্রবাসী জসিম উদ্দিনের স্ত্রী এক সন্তানের জননী সুহাদা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রবাসী জসিম উদ্দিন দেড়িখাই গ্রামের মুশাররফ আলীর ছেলে ও সুহাদা বেগম একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালিক খানের মেয়ে।
শনিবার সকালে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল জসিম উদ্দিনের সাথে সুহাদা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। জসিম উদ্দিন প্রবাসে থাকায় সুহাদা বেগম শ্বশুরালয়ে তার ৫ বছর বয়সী কন্যাসন্তান নিয়ে ভাসুরের পরিবারের সাথে বসবাস করে আসছেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে মাঝে-মধ্যে ভাসুর সেলিম আহমদ ও তার স্ত্রী সুনারা বেগমের সঙ্গে সুহাদার ঝগড়া হতো।
সুহাদার বড় ভাই ফয়সল আমহদ খান বলেন ‘আমার বোন আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার বোনের স্বামী প্রবাসে থাকায় তার ভাসুর সেলিম তাকে টাকার জন্য প্রায়ই মারধর করতো। একাধিকবার এ বিষয়ে সালিশ হয়েছে। আমার বোন শুক্রবার রাতেও তাদের নির্যাতনের একটি ভয়েস তার স্বামীর কাছে পাঠিয়েছে। সে ভয়েজটি আমাদের কাছেও দিয়েছে। আমরা ঘুমে থাকায় শুনতে পারিনি। কিন্তু সকালে শুনতে পাই আমার বোনের লাশ ঝুলছে। সেলিমই আমার বোনকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। পরে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। সেলিম আমার বোনের সকল টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে রাতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেছে। সেলিমকে পাওয়া যায়নি।
সেলিমের মা ও তার স্ত্রী বলেন- সেলিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সুহাদা বেগমের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গোয়াইনঘাট থানার এসআই জাহাঙ্গীর।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন