এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রিপাড়ায় বাংলোর বরাদ্দ হারালেন গোলাপ, পেলেন শফিক

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৪ ০০:৫৬:৪৭
মন্ত্রিপাড়ায় বাংলোর বরাদ্দ হারালেন গোলাপ, পেলেন শফিক

যুগভেরী ডেস্ক ::: মন্ত্রী না হয়েও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ) রাজধানীর মন্ত্রিপাড়ায় একটি বাংলো বাড়িতে থাকতেন। যে বাংলোয় থাকতেন, সেটির বরাদ্দ বাতিল করেছে সরকার।

২০১৬ সাল থেকে এ বাড়িতে থাকছিলেন গোলাপ। বাতিল করা সেই বাড়ি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা সরকারি আবাসন পরিদপ্তর ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলোটির বরাদ্দ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই দিনই আবদুস সোবহানকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে বরাদ্দ বাতিলের পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলোটি থেকে নিজের মালামাল ও আসবাব সরিয়ে নেওয়া শুরু করেন আবদুস সোবহান। কিছু মালামাল এখনো রয়েছে।

‘মন্ত্রী না হয়েও মন্ত্রিপাড়ার বাংলোয় গোলাপের বাস’ শিরোনামে ১ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এরপর বিষয়টি নতুন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নজরে আসে। তিনি খতিয়ে দেখে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন। সোমবার র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নিয়মমাফিক কাজ করবো। আমার দ্বারা নিয়মের বাইরে কোনো কাজ হবে না।’

রাজধানীর মিন্টো রোড মন্ত্রিপাড়া বলে পরিচিত। সেখানকার দুইতলা বাংলোগুলোয় মন্ত্রীরা বসবাস করেন। সেখানকার ৪২ নম্বর বাংলোয় থাকছিলেন আবদুস সোবহান। বাংলোটিতে আবদুস সোবহান উঠেছিলেন ২০১৬ সালে। তখন তিনি বাংলোটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে; যদিও ২০১৮ সালের পর থেকে তিনি আর বিশেষ সহকারী নেই।

সোমবার সকালে মিন্টো রোডের ৪২ নম্বর বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটক খোলা। দোতলা বাড়ির নিচতলার ঢোকার দরজায় তালা দেওয়া। বাড়িটির নিরাপত্তায় থাকা দুজন কর্মী জানান, ভেতরে একটি রেফ্রিজারেটর (ফ্রিজ) ও আলমারি রয়েছে, যেগুলো আবদুস সোবহানের।

সকালে বাড়িটি পরিদর্শনে যান সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) শহীদুল ইসলাম ভূঞাসহ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল। দলের সদস্যরা জানান, তাঁরা বাড়িটির সর্বশেষ অবস্থা দেখার জন্য গিয়েছিলেন। তবে তালা মারা থাকায় ভেতরে ঢুকতে পারেননি। চাবি আবদুস সোবহানের লোকদের কাছে।

শহীদুল ইসলাম ভূঞা বলেন, আবদুস সোবহান বেশ কিছু মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন। বাকি মালামাল সরানোর জন্য তাঁকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বাংলোটির চাবিও বুঝিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন প্রতিমন্ত্রীর জন্য বাসাটি মেরামত করতে হবে। নতুন করে সাজাতে হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন