এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি দূর করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ০৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার, ২০২৪ ১৭:৩৪:৫৫
পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি দূর করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

যুগভেরী ডেস্ক :::
বৃহত্তর সিলেটের অরাজনৈতিক কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস), সিলেট বিভাগের যুব সংগঠন, আত্মকর্মী ও বাংলাদেশ প্রেমী সৃষ্টিশীল যুবদের সমন্বয়ে এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক যুব সংগঠন সিকস’র অঙ্গ সংগঠন সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা (সিবিযুকস) এবং বাংলাদেশী প্রবাসীদের সবধরনের দাবী উপস্থাপনের বলিষ্ঠ অরাজনৈতিক সংগঠন সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা (সিপ্রকস)-এর যৌথ উদ্যোগে ০৮ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাসপোর্ট অফিসের ঘুষ ও দুর্নীতি দুর করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, উপদেষ্টা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বরাবরে (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক সিলেট) স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জাতীয় যুব দিবস-২০১০ এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি জাকারিয়া মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাকের, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম শিতাব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইব্রাহীম, সচেতন নাগরিকদের মধ্য থেকে সাংবাদিক শাহজাহান সেলিম বুলবুল, সাংবাদিক মোঃ আজমল আলী, মোঃ কামাল হোসেন ও গোলাম জিলানী।

স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের নতুনভাবে পথচলা শুরু হয়। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জন্য হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র আবার ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু সরকারী বিভিন্ন অফিসে এখনও পর্যন্ত ৫ আগষ্টের পূর্বের অবস্থা বিদ্যমান। সব জায়গায় প্রতিনিয়ত দুর্নীতি চলছে! দুর্নীতির করালগ্রাসে আমরা সাধারণ জনগণ জর্জরিত। সরকারী অফিসের ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে আমরা সাধারণ জনগন জিম্মি হয়ে আছি। ঘুষ-দুর্নীতি ছাড়া সরকারী কোনো অফিসে কাজ হয়না। ঘুষ-দুর্নীতি সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে। ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধ করতে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও সিন্ডিকেটবাজদের রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে ঘোষনা দাবি জানাই। পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ-দুর্নীতির যেন শেষ নেই, ঘুষ ছাড়া পাসপোর্ট মেলে না পাসপোর্ট অফিসে। সরকারের নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার পরও অতিরিক্ত তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা না দিলে হয়রানিতে পড়তে হয় পাসপোর্ট গ্রহীতাদের। পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতিও মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে চলছে। পাসপোর্ট অফিসের প্রতিটি জায়গায় টাকার মাধ্যমে কাজ সমাধান করতে হয়। কোথায়ও কোনো ভুল ধরা পড়লে ভোগান্তির শেষ নেই। জন্মতারিখ সংশোধন, নাম সংশোধন ও ঠিকানা সংশোধনে হাজার হাজার কখনো লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়! সাধারণ মানুষ পাসপোর্ট করতে এসে চরম নাজেহালের শিকার হন, যা বলাবাহুল্য। আবার পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে চলছে মারাত্মক হয়রানী ও চাঁদাবাজি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমনসহ যাবতীয় বৈদেশিক কাজে পাসপোর্ট করা জরুরী। সেই পাসপোর্ট যথাযথভাবে প্রাপ্তিতে সব প্রতিকুলতা দুর করে বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিকদের জন্য সহজ করা খুবই প্রয়োজন। পাসপোর্টধারী সাধারণ জনগনের কথা বিবেচনায় নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের সবধরনের ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে ৫টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার দাবি জানাচ্ছি।

দাবিগুলোঃ ১) অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পাসপোর্ট অফিসে যাওয়া ও ফিঙ্গার প্রিন্টের সময় নির্ধারণ করা, ২) অনলাইনের মাধ্যমে সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার সিস্টেম চালু করা, ৩) পাসপোর্ট ডেলিভারির দিন পাসপোর্ট প্রদান নিশ্চিত করা ও পাসপোর্ট প্রদানে সবধরনের হয়রানি বন্ধ করা, ৪) পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ করা, ৫) পাসপোর্ট অফিসে ভিআইপি পরিচয়ে সবধরনের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করা।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন