যুগভেরী ডেস্ক ::: যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ছাত্রদল সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক ও সদস্য সচিব বৃন্দের এক জরুরি সভা শুক্রবার রাতে নগরীর একটি হোটেলের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, সিলেট মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বক্ত তারেক, সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, সদস্য সচিব শাকিল মুর্শেদ, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, সদস্য সচিব আফসর খান, সিলেট জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবের আহমদ, সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন দিনার, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান।
সভায় খুনি শেখ হাসিনার পতন আন্দোলন করতে গিয়ে গত ১৬ বছরে শাহাদাৎ বরনকারী নেতাকর্মী ও সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী আন্দলোনে শাহাদাৎ বরনকারী মেধাবী ছাত্র ছাত্রী,নিস্পাপ শিশু, সাংবাদিক, সাধারণ জনতা, দলীয় নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সহ নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়।
সভায় সর্বসন্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কর্মকান্ডে কারো জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে। সভায় কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলা হয় অর্জিত বিজয়কে কোনো অবস্থায় প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেওয়া হবেনা। কারো ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় সংগঠন নেবেনা।
সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পতিত স্বৈরাচারের দোসর ও গনতন্ত্র বিরোধী পেতাত্বারা নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার থাকার আহবান জানানো হয়।
সভায় হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলা হয় কোনো মামলায় যাতে কোনো নিরপরাধ লোক এবং সাংবাদিকরা আসামি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ব্যক্তিগত জিজ্ঞাসা মিঠাতে কাউকে আসামি করা হলে প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এখন থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত যে কেউ মামলা করতে হলে সিলেট জেলা ও মহানগর এবং অধীনস্থ ইউনিটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে নামের তালিকা দেখিয়ে মামলা করতে হবে। কেউ অতি উৎসাহি হয়ে কিছু করতে গেলে তার দায়ভার সংগঠন নেবেনা বরং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলা হয় ইতিমধ্যে বেশ কিছু মামলা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কিছু কুচক্রী ও আওয়ামী পেতাত্বারা কিছু মামলা দায়ের করেছে যেখানে সাংবাদিক, নিরীহ মানুষ এমনকি আমাদের দলের নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আসামি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন