এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে আবারও অতি ভারী বৃষ্টির আভাস, ভূমিধসের শঙ্কা

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১১ জুলাই, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ ১৫:২৫:০০
সিলেটে আবারও অতি ভারী বৃষ্টির আভাস, ভূমিধসের শঙ্কা

যুগভেরী ডেস্ক ::: সিলেটে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময়ে এই অঞ্চলে পাহাড় ধসের শঙ্কার কথাও বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অতি ভারী বৃষ্টির প্রভাবে সিলেট কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

৬নং টুকেরবাজার ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি গ্রামে টিলা কেটে তৈরি করা হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি। যেগুলো এখনো দাঁড়িয়ে আছে তার পাদদেশ থেকে চূড়া পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে একের পর এক ঘরবাড়ি। আরো অনেক টিলায় রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিঘর। নগরীর গোয়াবাড়ীস্থ জাঙ্গীনগর এলকায় গিয়ে দেখাগিয়েছে প্রবল বৃষ্টিতে টিলা ধসে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড়ধরনের দুর্ঘটনা।

সতর্কবাণীতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ১১ জুলাই বেলা ১১টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।ভারী বর্ষণজনিত কারণে সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।

 

সিলেটে গত ২৭ মে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দুই সপ্তাহব্যাপী স্থায়ী এ বন্যায় পানিবন্দী ছিলেন জেলার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। প্রথম বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই ১৫ জুন ফের বন্যা হয় সিলেটে। বিশেষ করে ঈদুল আযহার দিন ভোররাত থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার অতিভারী বর্ষণে মহানগরসহ সিলেটের সব উপজেলায় লাখ লাখ মানুষ হয়ে পড়েন পানিবন্দী।

 

 

পরবর্তী এক সপ্তাহ সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ছিলো ভয়াবহ। এরপর পানি নামতে শুরু করে। তবে সে গতি ছিলো খুব ধীর। দ্বিতীয় দফা বন্যা শেষ হওয়ার আগেই গত ৩০ জুন সিলেটে ধাক্কা দেয় তৃতীয় দফা বন্যা। দুদিনের মাথায় আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে জেলার সব উপজেলার অন্তত ১০ লাখ মানুষ হয়ে পড়েন পানিবন্দী। বর্তমানে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন