যুগভেরী ডেস্ক ::: সিলেটে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় কমেছে সুরমার সিলেট পয়েন্টের পানি। যার ফল তিনদিন পর বিপৎসীমার নিচে নেমেছে এই পয়েন্টের পানি। তবে এখনো বিপৎসীমার উপরে সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টের পানি। এছাড়া এখনো বিপৎসীমার উপরে কুশিয়ারার সবকটি পয়েন্টের পানি। গত ৭২ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকায় গত শুক্রবার (৫ জুলাই) সারা দিনে ৩ থেকে ৬ সে.মি. করে কমেছে সিলেটের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা নদ নদীর পানি। সিলেটে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় কমেছে সুরমার পয়েন্টের পানি, ছবিটি তুলেছেন আমাদের আলোচিত্রী মো: শাহীন আহমদ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৫টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল পর্যন্ত এই দুই নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৬৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১৩০ সে.মি, শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি ৩৮, ১০১ ও ৪ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কমেছে লোভা, সারি ও ডাউকি নদীর পানিও। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ১৩ উপজেলায় ১০১টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত। ১ হাজার ১৮০টি গ্রামের ৬ লাখ ২৬ হাজার ১৩৮ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। জেলার ৬৫০টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৩২৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিলেটের মধ্য দিয়ে বয়েচলা প্রায় সকল নদী পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় উজানের পানি ধীর গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। মূলত নদী ও হাওরগুলো পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিচ্ছে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি। যার ফলে পানিবন্দি এলাকাগুলোতে মানুষের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি আরো বেড়েছে। সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে সিলেটে গত ২৪ ঘন্টায় ২৫.৬ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে জুলাই মাস জুড়েই সিলেটে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, গত কয়েকদিন ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টি হয়নি। সিলেটের নদীগুলো পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় উজানের পানি ধীর গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান বন্যায় সিলেটের ২৫ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মেরামতে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। তবে বন্যার পানি পুরোপুরি না নামলে এসব বাঁধের কাজ করা যাবে না।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন