এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জগন্নাথপুরে বৃষ্টিতে ফসলরক্ষা বাঁধে ফাটল, আতঙ্কিত কৃষকরা

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ২২ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ ২৩:০৭:৩৪
জগন্নাথপুরে বৃষ্টিতে ফসলরক্ষা বাঁধে ফাটল, আতঙ্কিত কৃষকরা

যুগভেরী ডেস্ক ::: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কয়েকটি প্রকল্পের বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে কৃষকরা ফসল নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব যতন মার্মা নলুয়া ও মইয়ার হাওর পরিদর্শন করে দ্রুত বাঁধের কাজের ত্রুটি শেষ করে কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এসময় জগন্নাথপুরের ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম, পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইরফানুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল বুধবার নলুয়ার হাওর পরিদর্শন করে দেখা গেছে, নলুয়ার হাওরের দাসনওয়াগাঁও থেকে হালেয়া পর্যন্ত ৩, ৪, ৫, ৬,৭ নম্বর প্রকল্পের কিছু কিছু অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্তরা শ্রমিক লাগিয়ে কাজ করছেন।

৬ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আহমেদ আলী বলেন, আমার প্রকল্প এলাকার নদীর তীরের অংশ ধসে পড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশে বিকল্প বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ করছি।
তিনি বলেন, ২১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দে ৫১২ মিটার বেড়িবাঁধের কাজ করছি। আশা করছি নিদিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হবে।

হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ শেষ করার কথা। নিয়ম অনুযায়ী কোন বাঁধের কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এক দিনের বৃষ্টিতে অনেকগুলো বাঁধে ফাটল ও ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আমরা চিন্তিত।

তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করতে দাবি জানাই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল জানান, বৃষ্টিতে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমরা সরেজমিনে হাওর ঘুরে যেসব ত্রুটি রয়েছে সেগুলো নিরসন করতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ৬ ও ৩৩ নম্বর প্রকল্পের বাঁধ ধসে যাওয়ায় কিছু অংশে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন