এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নতুন পুরাতন নৌকা কিনতে সালুটিকরে ক্রেতা-বিক্রতার ভিড়

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ০৯ জুন, রবিবার, ২০২৪ ১৩:৫২:২৯
নতুন পুরাতন নৌকা কিনতে সালুটিকরে ক্রেতা-বিক্রতার ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর বাজারে পাশে নৌকার হাটটি দেশব্যাপী পরিচিতি। সালুটিকর বাজারের পাশে প্রতিবছর বর্ষকালে নৌকার হাট বসে। এটি বৃটিশ শাসন আমল থেকেই বসছে নৌকার হাটটি।

ক্রেতা-বিক্রেতা বেশির ভাগই সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, ছাতক, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট এই পাঁচ উপজেলার মানুষ এই স্থানে নৌকা বেচাকেনা করতে আসেন। গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল, বৈটাখাল, ডৌবাড়ী ইউনিয়নের নিয়াইন, লেঙ্গুড়া ও গোয়াইনঘাট এলাকার বিক্রেতারা বেশি নৌকা নিয়ে এই হাটে নৌকা বিক্রি করতে আসেন।

সিলেট ছাড়াও হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখান থেকে নৌকা কিনে নিয়ে যান। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার নৌকার হাট বসে বেচাকেনা চলে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত। প্রতি হাটের দিন সারিবদ্ধভাবে ২ থেকে ৩ শত নতুন ও পুরনো নৌকা বিক্রির জন্য এখানে রাখা হয়। অনেকেই দু-তিনটি নৌকা একসঙ্গে বেঁধে, কেউ বা একটির ওপর আরেকটি নৌকা চাপিয়ে হাটে নিয়ে আসেন। আম্বরখানা- ভোলাগঞ্জ-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কের সালুটিকর বাজার পেরিয়ে রাস্তার ডান পাশে খালে নৌকা বেঁধে সড়কে ছাতা নিয়ে বসে থাকেন বিক্রেতারা। দাঁড়িয়ে দরদাম করেন ক্রেতারা। সড়কের অন্য পাশে নৌকার বইঠা বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়। নৌকা কিনে এই স্থানটিতে ছোটে আসেন বইঠা কেনার জন্য। এই হাটের বয়স প্রায় দেড়শত বছর।

সুরমা নদীর সঙ্গে মিলিত হওয়া চেঙ্গেরখাল নদ ঘিরে এই হাটে বসে নাওবাজার। সালুটিকরে যাতায়াত ব্যবস্থাটাও নৌকা আর নদী নির্ভর। চেঙ্গেরখাল নদ ঘিরে হাওর এলাকায় সংযোগ হয়েছে নৌপথের। বর্ষায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও যেন বিড়ম্বিত। জলমগ্ন হাওর-জলাশয় আর নিচু ভূমি এলাকা নৌকা দিয়ে সহজে পাড়ি দেওয়া যায়। তাই তো নৌকার এত কদর। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট হয়ে ওঠে নৌকার হাট। সকাল থেকেই নৌকা নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। এই হাটে ভালো কাঠের নৌকার দাম বেশি। ১৬ ফুট প্রস্থ ও আড়াই ফুট লম্বা প্রতিটি নতুন নৌকা বিক্রি হয় ৬০০০ থেকে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত। পুরনো নৌকাও বিক্রি হয় এই হাটে। এগুলোর দাম ৩০০০ থেকে ৬০০০ টাকা। নৌকা কিনে কেউ পানি পথে আবার কেউ ট্রাক কিংবা হিউম্যান হলারে করে নিয়ে যান।

কোম্পানীগঞ্জ থেকে আসা একজন ক্রেতা জানান, বর্ষকালে পানিতে বাড়িঘর ডুবে যায়। যাথায়াতের একমাত্র বাহন হচ্ছে নৌকা। তাই একানে নৌকা কিনতে এসছি।
চাহিদা মতো দাম দিয়ে নৌকা কিনতে পারলে নিয়ে যাবো।

বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে এই হাটের ইজারাদারদের মাধ্যমে রসিদ নিয়ে নৌকা কিনতে হয়। আসলেই কি বৃটিশ আমল থেকে বসছে এই নাও বাজার? এই বিষয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে নির্দিষ্ট কোন সন তারিখ জানাতে পারে নি কেউ।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন