এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শান্তিগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন : অভিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন সিরাজ

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১৯ মে, রবিবার, ২০২৪ ০৩:১৮:৫৭
শান্তিগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন : অভিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন সিরাজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শান্তিগঞ্জ :: শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আগেই নিজ গ্রামের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদাত মান্নান অভিকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন একই গ্রামের অপর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.সিরাজুর রহমান সিরাজ। তিনি উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাঠে প্রচার চালাচ্ছিলেন। মো. সিরাজুর রহমান সিরাজ সাবেক ছাত্রনেতা, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমান আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

শনিবার(১৮ মে) দুপুর-২ টায় শান্তিগঞ্জ বাজারস্থ স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারের হল রুমে শান্তিগহ্জ উপজেলার বৃহত্তর ডুংরিয়া গ্রামবাসীর আয়োজনে আলোচনা সভায় এ ঘোষনা দেন তিনি।

বৃহত্তর ডুংরিয়া গ্রামের প্রবীন মুরুব্বী হাজী কটু মিয়ার সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুক মিয়ার যৌথ পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদাত মান্নান অভি, সিরাজুর রহমান সিরাজ, উপজেলা আওমী লীগ সভাপতি সিতাংশু শেখধর ধর সিতু, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন, বৃহত্তর ডুংরিয়া গ্রামের শিবপুরের বাসিন্দা ইলিয়াছ মিয়া, ঘরোয়া গ্রামের বাসিন্দা ফরিদুর রহমান ফরিদ, জয়কলস ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, দিলন আহমদ সহ প্রমুখ।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পদপ্রার্থী সিরাজুর রহমান সিরাজ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিয়ে বলেন, আমি শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে নির্বাচন করেছি। আমি বর্তমানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য গ্রামে থেকে গ্রামে, হাট-বাজারে ছড়ে বেড়িয়েছি। আমি এমন পিরিস্থিতির মুখোমুখি কখনো হই নাই। আপনাদেরকে কি বলবো। আমি ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতি শুরু করেছিলাম। সেই রাজনীতি থেকে শুরু করে আমি ধীরে ধীরে গণমানুষের রাজনীতি শুরু করি। গণমানুষের রাজনীতি করতে গিয়ে দীর্ঘ ৪৭ বছর সাধারণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির পক্ষে কাজ করেছি। প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজদ, বর্তমান সংসদ আলহাজ এম এ মান্নানের পক্ষেও আমি মাঠে কাজ করেছি। আমি কখনো আমার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয় নাই। কোন লোভ আমাকে স্পর্শ করতে পরে নাই। আমি ডুংরিয়া গ্রামের সন্তান। আমি ডুংরিয়া গ্রামের মানুষকে ভালবাসি। আমাদের গ্রামের কৃতি সন্তান সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মান্নান এমপির পুত্র সাদাত মান্নান অভিও উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তাই বৃহত্তর ডুংরিয়া গ্রামের প্রবীন মুরব্বী ও গ্রামবাসীর প্রতি সম্মান জানিয়ে ডুংরিয়া গ্রামের একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন সাদাত মান্নান অভি। অভিকেই সমর্থন দিলাম। আমার পক্ষে নির্বাচন করবে অভি। তবে নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়ালেও একটি কথা বলতে চাই, যারা অভির পক্ষে রাজনৈতিক বড় বড় নেতা মাঠে কাজ করছিলেন, আশা করি ইশারা ইঙ্গিতে অভির বিরুদ্ধে কাজ করবেন না। বক্তব্য প্রদান কালে সিরাজুর রহমান সিরাজ কান্নায় কণ্ঠরোধ হয়ে পড়েন। এসময় সাদাত মান্নান অভি তাকে সান্তনা দেন।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পদপ্রার্থী সাদাত মান্নান অভি বলেন, আমি বৃহত্তর ডুংরিয়া গ্রামের মুরুব্বী থেকে শুরু করে যুবক ভাই সহ সবাইকে সম্মান জানাই। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকের এ আয়োজন। সবাইকে নিয়ে এক সাথে বসেছি। আমার বড় ভাই ডুংরিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান সিরাজুর রহমান সিরাজ ভাইকেও সম্মান করি। উনি আজকে যেভাবে ত্যাগ স্বীকার করেছেন গ্রামবাসীর কথায়। উনাকে আমি রাজনৈতিক ভাবেও সম্মান করি। আমি উনার কাছে চির কৃতজ্ঞ। আমি রাজনীতিতে আসার কথা ছিল না। আপনাদের কথায় এসেছি। আমি একটা বছর ধরে আপনাদের সাথে কাজ করছি। সবারই একটি লক্ষ্য উদ্দেশ্যে থাকে। অতীতে উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে উন্নয়ন হচ্ছে। আপনারা মনে করেছেন আমার বাবাকে দিয়ে কাজ করাবেন। আপনারা আমার বাবাকে নিয়ে এসেছেন। ভোট দিয়েছেন। সংসদে পাঠিয়েছেন। সিদ্ধান্ত ছিল ডুংরিয়া গ্রামবাসীর। আমি অনেক চিন্তা করেছে। দীর্ঘদিন ভেবেছি। পরিশেষে আপনাদের উন্নয়নে কাজ করার জন্য মনস্থির করেছি। দেশকে বদলাতে চাই। উপজেলার উন্নয়নে কাজ করতে যাই। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় অন্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে উদ্দেশ্যে করে সাদাত মান্নান অভি বলেন, কে কি বললো আমার যায় আসে না। আপনারা আমাকে চিনেন। আমার বাবা কে। আমি কোথায় কোথায় কাজ করছি। আমার কি যোগ্যতা আছে। সেটার প্রমাণও আপনাদের কাছে আছে। তাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আপনাদের কাছে আছে।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন