এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১২ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

……………………………

গোয়াইনঘাটে জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকোটিই একমাত্র ভরসা কোমলমতও শিক্ষার্থীদের

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, ২০২৫ ২০:৫৭:০১
গোয়াইনঘাটে জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকোটিই একমাত্র ভরসা কোমলমতও শিক্ষার্থীদের

দূর্গেশ সরকার বাপ্পী গোয়াইনঘাট থেকে :: সিলেটের গোয়াইনঘাটে একটি ব্রিজের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার করছে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও মক্তবের কয়েকশত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। উপজেলার ১০নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পাঁচপাড়া (তুড়গ্রাম) খালের উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোটি খালের দুই পারের মানুষের পারাপারের একমাত্র সম্বল। কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোর স্থানে অতি দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গ্রামের বাসিন্দারা জানান, উপজেলার গারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোওর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, পাঁচপাড়া মাদরাসা সহ মসজিদে সকালের মক্তবে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের একটি বড় অংশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। এছাড়া গ্রামবাসী চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলা সদরসহ পার্শ্ববর্তী কোওর বাজার এবং ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের জন্য এই সাঁকোটি ব্যবহার করে থাকেন। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। বিষয়টি স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের অবহিত করা হলেও অদ্যবধি তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

স্থানীয় সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলাম জানান, ‘সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও অবিভাবকরা বাধ্য হয়ে ছেলে মেয়েদের এই বাঁশের সাঁকো পার করে স্কুল, মাদরাসা ও মসজিদে সকালের মক্তবে পাঠান। বর্ষাকালে তো আর কষ্টের শেষ থাকেনা। গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা একটি খাল পুরো গ্রামকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে। খালের দুপারেই গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য মাটির রাস্তা রয়েছে, শুধু নেই সংযোগ ব্রীজ। খালের দুপারের মানুষের চলাচলের ভোগান্তি লাগবে এখানে ব্রীজ নির্মাণ খুবই জরুরী।

আর শিক্ষার্থীরা জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি পারাপার হতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী পা পিছলে সাঁকো থেকে খালের পানিতে পড়ে বইপত্র নষ্ট ও আহত হলেও ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোর স্থানে এখনও ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ১০নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আলিম উদ্দিন বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে জরাজীর্ণ এই বাঁশের সাঁকোটির পরিবর্তে এখানে ব্রীজ নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন