রেজওয়ান আহমদ :: সিলেট নগরীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তিন চাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। চালকরা দ্রুত গতিতে অটোরিকশা চালাতে গিয়ে যাত্রীরা পড়ছেন দূর্ঘটনায়। প্রতিদিনই নগরীর কোথাও না কোথাও এই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রীরা দূর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত ও নিহত হচ্ছেন। এ ধরণের একটি ঘটনা গত ১৯ এপ্রিল (শনিবার) বিকেলে চৌহাট্টা এলাকার আলপাইন রেস্টুরেন্টের সামনে অটোরিকশার সাথে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার নেছার আহমদ চৌধুরীর ছেলে শহিদ আহমদ চৌধুরী। ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু নগরীতে ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়েই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দ্রুত গতির এই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো। অটোরিকশা বন্ধে প্রশাসনের জরালো অভিযান না থাকায় কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না এই অটোরিকশা। রোববার (২৭ এপ্রিল) নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়েই চলাচল করছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এমনকি পয়েন্টের চারপাশেও লাইন ধরে থাকতে দেখা যায়। সিলেট নগরীতে বৈধ চেয়ে অবৈধ রিকশা বেশী। যার কারণে নগরীতে তীব্র জানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। সিলেট নগরীর যেকোনো রাস্তায় আচমকাই বেরিয়ে পড়ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। কিছুদিন আগে বেশির ভাগ সময় নগরীর অলি-গলিতে চলাচল করলেও কিছুদিন ধরে অলিগলি ছেড়ে মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করছে এসব রিকশা।
নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছুটে চলায় অন্যান্য যানবাহনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এসব রিকশা। কারণ, এসব রিকশা যে কাঠামোতে তৈরি, এর সঙ্গে গতি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে রাস্তায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুতগতির এ রিকশার চালকেরা যে যার মতো করে দাপিয়ে বেড়ান নগরীর বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা অটোরিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান চালাচ্ছি। এসব রিকশা আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হচ্ছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা