এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

……………………………

হাসিনার লুটপাট, হত্যা-গুমের বিচার করতে হবে: সিলেটে হাসান মাহমুদ টুকু

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ০৯ মার্চ, রবিবার, ২০২৫ ২৩:৪৫:১২
হাসিনার লুটপাট, হত্যা-গুমের বিচার করতে হবে: সিলেটে হাসান মাহমুদ টুকু

যুগভেরী ডেস্ক ::: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সরকারের আমলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্মম নির্যাতন করেছে। স্বৈরাচার সরকার যখন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে তখন তিনি পায়ে হেটে গেছেন। তিনি যখন স্বৈরাচারের কারখানা থেকে বের হয়েছেন তখন তিনি হুইল চেয়ারে বসে বের হয়েছেন। তারপওর তিনি কখনো মনোবল হারানা নি। দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যানে ও দলের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তিনি কখনো স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট পলাতক শেখ হাসিনার কাছে মাতা নত করেন নি।

তিনি বলেন, দেশ থেকে কোন স্বৈরাচার পালালে ফিরে আসার নজির কোথাও নেই। যারা পালিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের লুটপাট, হত্যা-গুম, নির্যাতনের বিচার করতে হবে।

বিএনপির চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা ও সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উদ্যোগে রোববার নগরীর একটি কনভেনশন হলে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টুকু আরো বলেন, ‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দলের সঙ্গে অন্য দলকে মেলানো যাবে না। আওয়ামীলীগের পালানোর ইতিহাস পুরাতন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে যখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দেশের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখন তারা কেউ নাই। আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়ার যে অভ্যাস তা ওই রাতেই শুরু হয়েছে। ৭১ সালে তারা পালিয়ে ভারতে চলে গেল। তখন বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষকে রক্ষা করার কোনো লোক ছিল না, জুলাই বিপ্লবে তারা আবার পালিয়েছে, পালানোর ইতিহাস তাদের জন্য মানানসই।

আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য অনেক কঠিন হবে জানিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনের নির্বাচন বিএনপির জন্য সবচেয়ে কঠিন হবে। আমিও বলছি, সবচেয়ে কঠিন হবে।

বাংলাদেশে মানুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেওয়া জাতীয়তাবাদকে বিশ্বাস করে। যাকে বলে সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে থাকা। নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি ফেরানো কঠিন। যতদ্রুত সম্ভব দেশে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা অন্তবর্তি সরকারের দায়িত্ব।

দোয়া ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নুরুল হুদা জায়গীদার, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সালেহ আহমদ খসরু, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক এড নুরুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড আব্দুল গফফার , জেলা বিএনপির সহ সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা আজমল বখত সাদেক, সাদিকুর রহমান সাদিক, মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেকদলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, লোকমান আহমদ প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন