সংবাদদাতা :: বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র মোচনে নজির স্থাপন করেছেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের মনিরুজ্জামান। সবজি চাষাবাদ করে মনিরুজ্জামান মাত্র দুবছরে হয়েছেন কয়েক লাখ টাকার মালিক। পতিত জমিতে তিনি ফলাচ্ছেন সোনার ফসল। ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন মাত্র অল্প দিনেই। সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২ নং ইসলামপূর পূর্ব ইউনিয়নের কালীবাড়ি( রহমত নগর)গ্রামের এক সময়ের পাথর ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মনির। ২০২০ সালে উপজেলার পাথর কোয়ারিগুলো বন্ধ হওয়ায় খুবই কষ্টে অনাহারে অর্ধাহারে দিন চলছিল তার পরিবারের। দীর্ঘদিনের কর্মচ্যুতি ও দারিদ্রের কষাঘাত জর্জরিত হয়ে পড়ে তার পারবারিক জীবন। কিংকর্তব্য বিমূঢ় অবস্থায় ২০২৪ সালের সূচনালগ্নে দেখা হয় উপজেলা কৃষি উপসহকারী তোফায়েল আহমেদ নাসিম এর সাথে। তারই সুপরামর্শে মনির প্রথমে ২ বিঘা জমিতে ধনিয়া পাতা চাষ করে প্রচুর লাভবান হন। ওই বছরই খরচ বাদে তার লাভ হয় প্রায় ১ লক্ষ টাকা। চলতি বছর মনির টমেটো, শিম,বাধাকপি, লাউ, ধনিয়া পাতা, পিয়াজ, রসুন, লালশাক সহ রকমারি সবজি চাষ করেন মোট ৩৫ বিঘা জমিতে। মনির আশাবাদি, এ বছর খরচ বাদে তিনি ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আয় করবেন। কৃষি অফিস থেকে যদি তিনি সহযোগিতা পান এবং চাষাবাদ করার জন্য তাকে গার্ডেনিং টিলার (হালের ট্রাক্টর) দেয়া হয় তাহলে তিনি আরো বড় আকারে সবজি চাষ করবেন। পতিত জমিগুলোকে সবুজ শ্যামল করে তুলবেন বলেও জানান তিনি। সবজি চাষি মনিরুজ্জামান জানান, এক সময় তিনি পাথর ও বালু ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। হঠাৎ কোয়ারী বন্ধ হওয়ায় কোন উপায়ন্তর না পেয়ে স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ো উঠেন। কৃষি উপসহকারী তোফায়েল আহমেদ নাসিম জানান,মনির একজন আদর্শ কৃষক। তিনি বারো মাসই নানা প্রকার শাক সবজি আবাদ ও বিক্রি করে আসছেন । তাছাড়া শাক সবজি আবাদে সার, বীজসহ সব ধরণের সহকারি সহযোগিতা আমরা করে যাচ্ছি। আলাপকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, মনির একজন সবজি চাষী, এবছর ঠিক কত বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেছেেন এর পরিমান আমার জানা নেই। তবে আমাদের সাথে তার যোগাযোগ আছে এবং আমরা তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও উপাদন দিয়ে সহযোগিতা করে থাকি।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন