এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

শহীদ জিয়ার জীবনাদর্শ আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে : আরিফুল হক চৌধুরী

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১৯ জানুয়ারি, রবিবার, ২০২৫ ২১:২৭:০৩
শহীদ জিয়ার জীবনাদর্শ আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে : আরিফুল হক চৌধুরী

যুগভেরী ডেস্ক ::: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে সম্মূখসমরে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। তিনি শুধু স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগই নেননি, বরং সেই লক্ষ্য নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে কাজ করেছেন। তিনি সার্ক গঠন করার পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়ার করনেই হয়তো তাকে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছিল। তাই শহীদ জিয়ার জীবনাদর্শ আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

রোববার দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক সালেহ আহমদ খছরুর সঞ্চালনায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী। মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর সাজেদুল করিম।

সম্মানিত আলোচকের বক্তব্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর সাজেদুল করিম বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ওয়ান্ডার অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ছিলেন। তিনি জাতির জন্য জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছিলেন। বিএনপি যতদিন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে থাকতে তত দিন বাংলাদেশ সঠিক পথে থাকবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা শেখ মুজিবুর রহমানও স্বীকার করেছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ড. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, মিফতাহ সিদ্দিকী একটি সময়োপযোগী আয়োজন করেছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই। জিয়াউর রহমান সফল সৈনিক ছিলেন। ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান নিরাপদে দেশ ছাড়েন। তখন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এই ইতিহাস মুছে ফেলার অনেক চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ। তবে তা মুছে ফেলা সম্ভব নয়। জিয়াউর রহমান সফল রাষ্ট্রনায়কও ছিলেন।

সমাপনী বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, ২৫শে মার্চের ভয়াবহ গণহত্যা শুরু হওয়ার পর ২৬ শে মার্চ প্রত্যুষে মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। শহীদ জিয়া যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলে, আমরা যদি সেই চেতনাকে ধারন করে আগামী ১১ বছর অর্থাৎ শহীদ জিয়ার জন্মশতবর্ষ পর্যন্ত কাজ করি তাহলে এই দেশ সত্যিকারার্থে শহীদ জিয়ার স্বপ্নের স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে পারব ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সহ সম্পদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ও আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি সুদিপ রঞ্জন সেন ও বদরুদ্দোজা বদর,, জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি নিগার সুলতানা ডেইজি, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক কুমকুম, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লুতফুর রহমান প্রমূখ। শুরতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ৩৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কাজি মুহিব।
অনুষ্ঠানে ৫শত ৩০ জন শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দকে নিয়ে শিক্ষা উপকরণ সামগ্রী ও প্রায় দেড় হাজার মানুষের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেন মিফতাহ সিদ্দিকী। এসময় শিক্ষা উপকরণ পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন