যুগভেরী ডেস্ক ::: প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা,শতাধিক পণ্যে শুল্ক-করারোপ, টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ ও ৪৩ লাখ পরিবারের ফ্যামিলি কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিটি পয়েন্টে সমাবেশে মিলিত হয়।
সিলেট জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট,বাসদ আহ্বায়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য পিনাক রঞ্জন দাস এর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা সিপিবি সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক সিরাজ আহমদ, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাশ, বাসদ জেলা সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ডাঃ হরিধন দাশ, উদীচী জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত মিন্টু, চা শ্রমিক ফেডারেশনের অজিত রায় প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমানে যেখানে ক্রমাগত পণ্য মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত, সেখানে অর্থবছরের মাঝখানে নতুন করে শতাধিক নিত্যপণ্যের উপর ভ্যাট ও শুল্ক বাড়িয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন আরও বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আইএমএফ এর পরামর্শে এই করারোপের কোন নৈতিক ভিত্তি বর্তমান সরকারের নেই। এইটি শ্রমজীবী, কর্মজীবী নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘায়ের সামিল। বক্তারা বলেন, যেখানে আমাদের প্রবাসী শ্রমিকেরা মাসে ২ বিলিয়ন ডলার দেশে প্রেরণ করে সেখানে মাত্র দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আইএমএফ এর চাপে করারোপের কোন মানে হয় না।
বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকার অনিয়মের অভিযোগ তুলে সারাদেশে টিসিবির ৪৩ লাখ পারিবারিক কার্ড বাতিল করেছে। যদিও এত বেশি পরিমাণ কার্ড অনিয়ম হয়েছে বলে জনমনে বিশ্বাসযোগ্যতা আসে না। উচিত ছিল পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এটি সিদ্ধান্ত নেওয়া। তা না করে কার্ড বাতিলই শুধু নয় উল্টো টিসিবির ট্রাক সেল কর্মসূচিও বন্ধ করে দিয়েছে। এতে যেসব নিম্ন আয়ের মানুষ কিছুটা সুবিধা পেত, তারা আরো বিপদে পতিত হয়েছে।
বক্তারা বাজার সংস্কার করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন অন্যথায় কোন সংস্কারই কাজে আসবে না।
বক্তারা অবিলম্বে সুষ্ঠ, অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতন্ত্রে উত্তোরণের পথ সুগম করার দাবি জানান। একই সাথে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা শোষণ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু ক্ষমতার হাত বদল নয় ব্যবস্থা বদলের সংগ্রামে সামিল হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা