এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

চীনের ভাইরাস বাংলাদেশে, সিলেটে নেই সর্তকর্তা!

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৫ ১২:৩৪:০০
চীনের ভাইরাস বাংলাদেশে, সিলেটে নেই সর্তকর্তা!

যুগভেরী ডেস্ক ::: চীনে আতঙ্ক ছড়ানো এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন দেশের মানুষ। বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছেন একজন। এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করলেও সিলেটে এখনো প্রতিরোধমূলক কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর অফিস বলছে- সিলেট বিশেষ কোন ঝুঁকিতে নেই এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর সিলেটের কোন বন্দরে বাড়তি কোন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সব জায়গায় আগের মতই কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সব কার্যক্রম চলছে বিমানবন্দরে। সেইসঙ্গে স্থলবন্দরসমুহেও আমদানি-রপ্তানির পণ্য নিয়ে যাতায়াতকারী ট্রাকচালক ও সহকারীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই অবাধে চলাচল করছেন।

এ ব্যাপারে সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. আনিসুর রহমান জানান, এইচএমপিভি সংক্রমণের জন্য এখনো সিলেট বিশেষ কোন ঝুঁকিতে নেই। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারিকৃত সতর্কবার্তা এসেছে। সিলেটের বিমানবন্দর কিংবা কোন স্থলবন্দও, শুল্ক স্টেশন কিংবা ইমিগ্রেশন সেন্টারে বিশেষ কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এইচএমপিভি ভাইরাস কি? চীনের সেন্ট্রার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশান বা সিডিসি’র ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এইচএমপিভি কোভিড-১৯ এর মতোই একটি আরএনএ ভাইরাস। অর্থাৎ এর জিনের গঠন একই। এই ভাইরাসও শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সিডিসি বলছে, ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়।

 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ঘাবড়াবার কিছু নেই। কেননা চীনের সরকার বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও কেউই এখনও আনুষ্ঠানিক সতর্কতা জারি করেনি।

 

এই ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করবে কী-না সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও কোনো সতর্কবার্তা দেননি। তবে, রোগটি যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

 

এইচএমপিভি সংক্রমিত হলে সাধারণ জ্বর বা ফ্লুর মত উপসর্গ দেখা যায়।সাথে কাঁশি, জ্বর, নাক বন্ধ এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সাথে চামড়ায় র‍্যাশ বা দানা দানা দেখা দিতে পারে। তবে, কারো কারো জন্য এসব উপসর্গ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।সিডিসি বলছে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে কোন বয়েসী মানুষের ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মত অসুখ হতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তাদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে। আক্রান্ত হওয়ার পর লক্ষণ প্রকাশ পেতে তিন থেকে ছয় দিন সময় লাগে। কিন্তু আক্রান্ত হলে ঠিক কতদিন ভুগবেন একজন মানুষ তা নির্ভর করে সংক্রমণের তীব্রতা ও আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতার ওপর।

 

কীভাবে ছড়ায়?
এইচএমপিভি সাধারণতঃ আক্রান্ত মানুষের হাঁচি বা কাঁশি থেকে ছড়ায়। এছাড়া স্পর্শ বা করমর্দনের মত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে। এছাড়া আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’ সিডিসি বলছে, এইচএমপিভি রয়েছে এমন বস্তু বা স্থান স্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাঁশির ড্রপলেট লেগে থাকা স্থান যেমন দরজার হাতল, লিফটের বাটন, চায়ের কাপ ইত্যাদি স্পর্শ করার পর সে হাত চোখে, নাকে বা মুখে ছোঁয়ালে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে। অনেকটা কোভিডের মতো।

এইচএমপিভির সংক্রমণ সাধারণত শীতের সময় বাড়ে, যখন মানুষ দীর্ঘ সময় ঘরের ভেতর সময় কাটায়।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন