এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

শতাধিক পণ্যের ভ্যাট বৃদ্ধি ও টিসিবির ৪৩ লাখ কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন: বাসদ

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১২ জানুয়ারি, রবিবার, ২০২৫ ১৮:৪২:৫৪
শতাধিক পণ্যের ভ্যাট বৃদ্ধি ও টিসিবির ৪৩ লাখ কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন: বাসদ

যুগভেরী ডেস্ক ::: টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ, ৪৩ লাখ পরিবারের কার্ড বাতিল এবং শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল – বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাসদ সিলেট জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য,চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানার সঞ্চালনায় মানববন্ধন-বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বাসদ সিলেট জেলা শাখার সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সহ সভাপতি শহীদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুর আহমদ, জাহেদ আহমদ, সংগ্রাম পরিষদের শরিফুল ইসলাম, রনি তালুকদার, মোঃ কামাল আহমেদ, আজিজুল ইসলাম প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অন্তরর্বর্তী সরকার অনিয়মের অভিযোগ তুলে সারাদেশে টিসিবির ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করেছে। যদিও এত বেশি পরিমাণ কার্ড অনিয়ম হয়েছে বলে জনমনে তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়না। তাদের উচিত ছিল এই ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল না করে যথাযথ পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা দেশবাসীকে জানানো এবং অন্য দরিদ্রদের মাঝে ঐ কার্ড বিতরণ করা। কিন্তু তারা তা না করে উল্টো টিসিবির ট্রাক সেল কর্মসূচিও ডিসেম্বর থেকে বন্ধ করে দিয়েছে। এই ট্রাক সেল কর্মসূচি থাকলে অন্তত নিম্ন আয়ের মানুষ কম দামে তেল, ডাল ও চাল কিনতে পারত। বাসদ দীর্ঘদিন ধরে জনজীবনের সংকট নিরসনের দাবিতে গ্রাম ও শহরের শ্রমজীবী মানুষের জন্য সর্বজনীন রেশন চালু ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করার দাবি জানিয়ে আসছে। অন্তর্বর্তী সরকার সে দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতোই বর্তমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়িয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন আরও বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এই তুঘলকী সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গণবিরোধী চরিত্রই জনগণের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠল। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ফলে জনজীবন এমনিতেই দুর্বিসহ তদুপরি আইএমএফের পরামর্শে অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত গ্রামীণ স্বল্প উপার্জনকারী এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের উপর যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, তা দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে গভীর সংকট তৈরি করবে।

বক্তারা অবিলম্বে সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল করার জোর দাবি জানান এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও খেলাপি ঋণ আদায় করে শিল্প, কৃষি ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করে জনজীবনের সংকট নিরসন করার দাবি জানান।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন