সিলেটের গোলাপগঞ্জে পরিবেশ কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে মারধর করে হামলাকারীরা। পরে শুক্রবার সকালে ওই পরিবেশ কর্মীর বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় উপজেলার দক্ষিন লক্ষীপাশা গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহত হয়ে ওসমানী হাসপতালে চিকিৎসাধীন পরিবেশবাদী সংগঠন ‘বাঁচাও’ এর সদস্য হাফিজ জামিল আহমদ। এ ঘটনায় পরিবেশ কমীর পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) কেটে বিক্রি করে আসছিল। এভাবে মাটি কাটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং ধুলোবালিতেও মানুষের চলাচলে কষ্ট হওয়ার কথা খালেদ, শাহেদ, তারেক ও রুবেলকে জানান জামিল আহমদ। তারা এসবের তোয়াক্কা না করে মাটি কেটে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছিলেন। এমনকি মোবাইল ফোনেও বিষয়টি তাদেরকে অবগত করেন জামিল। বারবার এভাবে পরিবেশের ক্ষতি না করার জন্য হাফিজ জামিল আহমদ তাদেরকে বলে আসছিলেন। পরিবেশ নষ্ট করার কথা বলায় ওই চক্র তার কথা না শুনে উল্টো মাটি কেটে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাফিজ জামিল দোকানে বসে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। এসময় ট্র্াক্টর দিয়ে এভাবে মাটি বহন না করা এবং পরিবেশের ক্ষতি না করার আহবান জানান। এ কথার বলার পরপরই তার উপর হামলা চালায় খালেদ, শাহেদ সহ তাদেও সহযোগীরা। এ সময় তাকে ছুরিকাঘাত করে করে বেশী বাড়াবাড়ি করলে পরিবেশের ক্ষতি করার পাশি পাশি তারও মারাত্মক ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। ভাইকে মারতে দেখে বড় ভাই মোমেন এগিয়ে এলে তাকেও মারধর কওে তারা। এ সময় এলাকার লোকজনের ধস্তাধস্তিতে শাহেদ আহত হন। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় মাওলানা জামিল আহমদকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন স্বজনরা। বর্তমানে তিনি ওসমানী হাসপাতালের ৪ তলা একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলাকারীরা তার চোখ ও তার ভাইয়ের হাত ও পায়ে মারাত্মক জখম করে। শুক্রবারের এই ঘটনায় জামিল আহত হওয়ার পর থানায় বিষয়টি জানালেও মামলা করতে বিলম্ব হয়। তার চিকিৎসা নিয়ে পরিবারের লোকজন যখন ব্যস্ত সময় পার করছিলেন তখনই শুক্রবার সকালে খালেদ আহমদ ও তার পরিবারের লোকজন গ্রামের কিছু লোক নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা পরিবারের নারী সদস্যদেরকেও মারধর করে। এমনকি ঘরে টিন ও বাড়ির গেইট ভাংচুর করে। ভেতরে ঢুকে লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত মাওলানা হাফিজ জামিল আহমদের ভাই আল আমিন জানান, এলাকায় আমাদের একটি দোকান আছে। এই দোকানটি পরিচালনা করছেন তারা তিন ভাই। জামিল আহমদ মাঝে মধ্যে সময় দেন।
তিনি জানান, তার ভাই জামিল সব সময় একটু প্রতিবাদী। পরিবেশের কোথাও ক্ষতি হলে নিজ থেকেই সচেতন করার কাজটি করে থাকে। এ কারনে তার উপর অনেকটা ক্ষুদ্ধ ছিল হামলাকরীরা। আমরা জামিলকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় থানায় মামলা করতে বিলম্ব হয়। এই সুযোগে তারা গিয়ে থানায় অভিযোগও করে বসে। এমনকি সকালে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। আমার অসুস্থ বোন ও মাকে মারধর করে। এছাড়া আমাদের অনেক ক্ষতি সাধন করে হামলাকারীরা। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মোল্লা মনির জানান, ঘটনা শোনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত অব্যাহত আছে। কেউ মামলা দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন