যুগভেরী ডেস্ক ::: ৩০ লক্ষ বীরের তাজা প্রাণ ও ২ লাখ মা-বোনের অমূল্য সম্ভ্রমের ত্যাগে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেছি আমরা। মুক্ত হয়েছি পরাধিনতার শৃঙ্খল থেকে রোববার দিবাগত মধ্যরাতে ঘণ্টা বাজবে সেই বিজয়ক্ষণের। কাল রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্য্যদয় থেকে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা দিনভর সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জানাবেন পুষ্পশ্রদ্ধা। এ লক্ষ্যে শনিবার বিকালের মধ্যেই পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে মহানগরের চৌহাট্টাস্থ শহিদ মিনারটি।
শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, শহিদ মিনার বেদিসহ আশপাশ জায়গা ধুয়ে-মুছে পরিচ্ছন্ন করছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নিযুক্ত কর্মীরা। বাইরে নিরাপত্তায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিসহ চৌহদ্দিতে রঙ করা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা বেস্টনী, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় সার্বিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও শহীদ মিনারের সামনে করা হয়েছে নানা বিজয়-অঙ্কান। যা শহীদ মিনার ঘিরে এনে দিয়েছে আলাদা এক ভাব-গাম্ভীর্যের পরিবেশ।
নির্দিষ্ট সময় থেকে সিলেটের বিভিন্ন প্রশাসন ও রাজনৈতিক, সাংবাদিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে শ্রদ্ধার পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এর মাধ্যমে উদযাপন করা হবে মহান বিজয় দিবসকে। এছাড়া দিনভর সিলেটে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আলোচনাসভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে।
নিরাপত্তার বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন- মহান বিজয় দিবসে সর্বস্তরের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারে সেজন্য নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে। লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট রাত থেকে শহিদ মিনার এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া দিনে ও রাতে শহিদ মিনার এলাকায় সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমেও শহিদ মিনার এলাকায় পুলিশ নজরদারি রাখবে বলে জানান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন