এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

টেকনাফে ৩ অপহরণকারী আটক ২ ভিকটিম উদ্ধার

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ২৬ নভেম্বর, মঙ্গলবার, ২০২৪ ১৫:২০:২৬
টেকনাফে ৩ অপহরণকারী আটক ২ ভিকটিম উদ্ধার

যুগভেরী ডেস্ক ::: কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ সদরে দিনদুপুরে অটোরিকশা থামিয়ে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে অপহৃত রোহিঙ্গা দুই মৎস্য ব্যবসায়ীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল মাঠপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান, টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

উদ্ধাররা হল, উখিয়া উপজেলার বালুখালি ৮ নম্বর ক্যাম্পের আবুল বাছেরের ছেলে মোহাম্মদ শামশু এবং বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পের আব্দুর শুক্কুরের ছেলে আনিছুল আলম। গ্রেফতাররা হল- মোহাম্মদ সাইফুল টেকনাফ পৌরসভার ইসলামাবাদ এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল মাঠপাড়ার মো. কবিরের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৫০) ও মো. রবিউলের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৩০)।

সোমবার সকাল ১১ টায় টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল মাঠপাড়ায় অটোরিকশা থামিয়ে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে অপহরণ করা হয় এই দুইজনকে।

উদ্ধার মোহাম্মদ শামশু ও আনিছুল আলম জানিয়েছেন, বালুখালি ক্যাম্প থেকে মাছ কিনতে তারা দুইজন টেকনাফে আসেন। টেকনাফ বাজারে মাছ না পেয়ে অটোরিকশা যোগে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর যাওয়ার পথেই তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয় পাহাড়ে। ওখান থেকে জনতা তাদের উদ্ধার করেছে।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার দুই জনকে ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করে স্থানীয় এক ব্যক্তি কৌশলে নিজের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র ধারণ করেছেন। পরে বিষয়টি পুলিশ অবহিত করেছেন। ভিডিওতে ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের কয়েকজনকে চেনা গেছে।

তারা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল মাঠপাড়ার বাসিন্দা কবির আহমদের ছেলে মজিব উল্লাহ ও শওকত উল্লাহ, লম্বরী এলাকার মোহাম্মদ কবিরের ছেলে মো. শহীদ, নতুন পল্লান পাড়ার নুরু সালামের ছেলে মো. হাশিম এবং হাতিয়ারঘোনা এলাকার নজির আহমদের ছেলে মো. নয়ন।

তিনি বলেন, বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করার পর পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় জনতাকে সাথে নিয়ে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে সফল হওয়া গেছে। টেকনাফের অপহরণসহ অপরাধ রোধে জনতাকে একইভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, জনতার সহযোগিতায় দুই জনকে উদ্ধার এবং তিনজনকে গ্রেফতারের ঘটনায় মামলা হবে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন