সিলেটে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে হয়রানি আর নানা অনিয়ম দূর করতে প্রিপেইড মিটার বসানো হয়েছে। কিন্তু এই প্রিপেইড মিটার নিয়ে চলছে নানা অব্যবস্থাপনা। একদিকে মানহীন প্রিপেইড মিটার, অন্যদিকে লোড বাড়াতে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহকদের কাছ থেকে নিচ্ছে বাড়তি টাকা। এ নিয়ে সিলেটে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ।জানা যায় সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) আওতাধীন এলাকায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৮২টি মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটারে রিচার্জ করার পরই দ্রুত টাকা শেষ হয়ে যায়। কাগজের বিলের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বিল পরিশোধ করতে হয় প্রিপেইড মিটারে। আবার আরেক ভোগান্তির নাম হচ্ছে জরুরি ব্যালান্স। জরুরি ব্যালান্স নিলে পরিশোধ করতে হয় মাত্রাতিরিক্ত চার্জ। রিচার্জে পোহাতে হয় নানামুখী ঝামেলা। একদিকে রিচার্জ কার্ড সব জায়গায় পাওয়া যায় না, অন্যদিকে ডিজিট বেশি হওয়ায় তা মিটারে প্রবেশ করাতে ঝক্কি পোহাতে হয়। একসঙ্গে এতগুলো ডিজিট প্রবেশ করাতে গিয়ে ভুল হলেই মিটার ‘লক’ হয়ে যায়। তখন দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়।
গ্রাহকরা বলেন, পোস্ট মিটার থাকাকালে আগে যে ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা বিল আসতো এখন সেই একই পরিবারে মাসে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা বিল আসছে। প্রতিবার রিচার্জ করলেই করলেই নানা চার্জের নামে অনেক টাকা কেটে নেয়।
এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ প্রিপেইড মিটার ও বিল সংক্রান্ত অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে।
তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ অঞ্চল সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির জানান, গ্রাহক হয়রানি কমাতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে উপর মহল থেকে। আর মিটার স্থাপনে বিদ্যুৎ বিভাগের কেউ টাকা চাওয়ার অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা