যুগভেরী ডেস্ক ::: মহান রুশ বিপ্লবের ১০৭ তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় সিলেট নগরী জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমির হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা এক লালাপতাকা মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার সমন্বয়ক কমরেড সুশান্ত সিনহা সুমনের সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য এডভোকেট মহিতোয দেব মলয় এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় ফোরামের সমন্বয়ক কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদ সিলেট মহানগরের সভাপতি এডভোকেট জাকির আহমেদ, বাম জোট সিলেট জেলার সমন্বয়ক ও বাসদ সিলেট জেলার আহবায়ক কমরেড আবু জাফর। বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার সদস্য এডভোকেট রনেন সরকার রনি, চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক রিদেশ মুদি, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল সিলেট নগরের সভাপতি বিশ্বজিত শীল।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সিলেট জেলার সভাপতি কমরেড সিরাজ আহমদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সিলেট জেলার নেতা সঞ্জয় কান্ত দাস, বৈষম্য বিরুধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মনিষা ওয়াহিদ, সফররাজ সানোয়ার প্রমুখ।
সভায় কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ৭ নভেম্বর ২০২৪ মহান রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৭ তম বার্ষিকী। ১৯১৭ সালের এই দিনে রাশিয়ার বিপ্লবী শ্রমিক শ্রেণির, গরিব কৃষক, মেহনতি জনগণ এক অভূতপূর্ব বিপ্লবের মাধ্যমে শত শত বছরের শোষণ ও দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়েছিল। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, মানব সম্পদ সহ সর্বক্ষেত্রে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন উন্নয়নের উচ্চতর শিখরে পৌঁছে ছিলো। কমরেড লেনিনের নেতৃত্বে ও তাঁর হাতে গড়া বিপ্লবী বলশেভিক পার্টির পরিচালনায় রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব জয়যুক্ত হয়েছিল। কমরেড লেনিনের অকাল মৃতুর পর কমরেড স্ট্যালিনের দৃঢ নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মানের কর্মজজ্ঞ বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছিলো। কমরেড স্ট্যালিনের মৃতুর পর শোধনবাদীরা সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব দখল করে। সে শোধনবাদী পথে চলতে চলতে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাষ্ট্রের পতন ঘটে এবং সেখানে পুনরায় পুঁজিবাদের আবির্ভাব ঘটে। সোভিয়েত ইউনিয়ন আজ না থাকলেও, মহান রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও সমাজতন্ত্রের গৌরব আজও অম্লান, আজও সমুজ্জ্বল।
আমাদের দেশে গত জুলাই - আগস্ট মাসে গণঅভুয়থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটেছে। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার রক্তক্ষয়ী এ অভুথ্যান শুধু আমাদের দেশে নয়, সমকালীন বিশ্বও াজনীতিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। শোষণ-দুঃশাসনে অতিষ্ঠ মানুষ জীবনের মায়া তুচ্ছ করে সরকার পতনের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলো। রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিলো মুক্তি প্রত্যাশি মানুষের রক্তে। জনতার রুদ্ররোষে ৫ আগস্ট গণভবন পতন আমাদের স্মরণ করে দিয়েছিলো ঐতিহাসিক ফরাসি বিপ্লবের সময় কুখ্যাত বাস্তিল দূর্গ পতনের ইতিহাস। কিন্তু অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে অভুথ্যানকারী জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের কায়দায় দেশ শাসন করছেন, শ্রমিক স্বার্থ বিরুধী কার্যক্রম করছে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বুকে গুলি চালিয়েছে।
ফলে রুশ বিপ্লবের চেতনায় গণঅভ্যুত্থানের ধারাকে সমাজ বিপ্লবের লক্ষ্যে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি সকালের প্রতি আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা