ডেস্ক ::: ১ কোটি ৪ লক্ষ টাকার ৫টি চেকের মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও শ্রম আদালত, বিদুৎ আদালত এবং চেক ডিজনারসহ আরও ১৬ টি মামলায় পলাতক থাকা ইয়াছিন উসমান(৬৫)-কে গ্রেফতার করেছে এসএমপি’র কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ । ইয়াছিন উসমান সিলেট নগরীর বন্দর বাজার পুরান লেনের ডি-১ এর মৃত হাজী উসমান আলীর ছেলে এবং উসমানী গনী প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর গার্ডেন টাওয়ারের সামন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আকবর হোসেন। তিনি জানান, বর্তমানে ৫ টি মামলায় সাজা পরোয়ানা এবং ১২ টি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানায় গ্রেফতারেরপর ইয়াছিন উসমানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া শ্রম আদালত এবং বিদুৎ আদালতের আরও ৪ টি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে। সূত্র জানায়, ইয়াছিন উসমান এর বিরূদ্ধে ১ কোটি ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার ৬ টি চেক ডিজনার করে সিলেটের মেট্রোপলিটন আদালতে মামলা দায়ের করেন মো. আব্দুল খালিক। মামলা গুলো হলো, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ (রহঃ) থানার দায়রা মামলা নং-৯৮৯/২৩ ইং, যাহা যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত, সিলেট বিগত ১৫ জানুয়ারি ১৩৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের সমপরিমাণ অর্থদন্ড, শাহপরাণ (রহঃ) দায়রা মামলা নং-৯৯০/২০২৩ ইং, যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ২য় আদালত, সিলেট ১২ ফেব্রুয়ারি ১৩৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের সমপরিমাণ অর্থদন্ড , শাহপরাণ (রহঃ) দায়রা মামলা নং-১৪৮২/২৩ ইং, যাহা বিগত ১ মার্চ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ১ম আদালত, সিলেট ১৩৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের সমপরিমাণ অর্থদন্ড,শাহপরাণ (রঃ) দায়রা মামলা নং- ১৪৮০/২৩ইং মামলায় গত ২৭ মে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ১ম আদালত, সিলেট ১৩৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের সমপরিমাণ অর্থদন্ড, শাহপরাণ (রহঃ), দায়রা মামলা নং-১২৫৩/২৩ ইং, ১ সেপ্টেম্বর যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ২য় আদালত, সিলেট ১৩৮ ধারায় ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের সমপরিমাণ অর্থদন্ড প্রদান করেন এবং শাহপরাণ (রহঃ), দায়রা মামলা নং-১৪৭৬/২৩ ইং মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। উক্ত মামলাগুলোতে পলাতক থাকায় আদালত আসামীর বিরুদ্ধে রায় প্রচার করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোতোয়ালী থানা, সিলেটের বরাবরে সাজা পরোয়ানা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা প্রেরণ করেন। কিন্তু আসামি দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াছিন উসমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ টি চেক ডিজনার মামলার বাদী মো. আব্দুল খালিক পক্ষের আইনজীবী মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, তিনি বাদীপক্ষে ৬ টি চেক ডিজনার মামলা পরিচালনা করেন। যার মধ্যে ৫ টি মামলায় আদালত ইয়াছিন উসমান-কে দোষী সাব্যস্ত করে দন্ড প্রদান করেন। আর একটি মামলা চলমান। তিনি আরও জানান, ইয়াছিন উসমানকে পুলিশ গ্রেফতার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন