যুগভেরী ডেস্ক ::: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযানে এবার আটক হলেন খ্যাতনামা অভিনেতা ও টানা পাঁচবারের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।
রোববার রাতে ঢাকার বেইলি রোডে নওরতন কলোনির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার মিরপুর থানায় করা একটি মামলায় আসামি হিসেবে নূরের নাম আছে।
চলতি বছর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-২ আসনে পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নূর।
এই আসন থেকে ২০০১ সালে প্রথমবারের মত নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য হন তিনি। এরপর আরও চারটি নির্বাচনে জয় জান।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে জেতার পর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৪৬ সালে ৩১ অক্টোবর নীলফামারী জেলায় জন্ম তার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বাম রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। পরে পুরো মনোযোগই দেন নাট্য আন্দোলনে।
অভিনয়শিল্পী ও আবৃত্তিকার হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়া নূর ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি করলেও ৯০ এর দশকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
গণ আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিন দিন পর গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা।
এদের মধ্যে আছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
শনিবার রাতে ঢাকার ইস্কাটনে গ্রেপ্তার হন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সাবেক মন্ত্রী, এমপি, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ অন্তত ২৬ জন এখন কারাগারে।
নূরকে গ্রেপ্তারের রাতে ঢাকা থেকেই গ্রেপ্তার হন একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া মাহবুব আলী।
দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে জয় পাওয়া এই রাজনীতিক গত জানুয়ারির নির্বাচনে হেরে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের কাছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন