এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কৃষ্ণ কুমার পাল চৌধুরী একজন ক্ষণজন্মা মহর্ষি : অধ্যাপক মোহাম্মদ সফিক

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার, ২০২৪ ০৪:১৯:২২
কৃষ্ণ কুমার পাল চৌধুরী একজন ক্ষণজন্মা মহর্ষি : অধ্যাপক মোহাম্মদ সফিক

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ সফিক বলেছেন, কৃষ্ণ কুমার পাল চৌধুরী একজন ক্ষণজন্মা মহর্ষি, একজন ন্যায়নিষ্ঠ উদার সমাজ সংস্কারক ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা। স্যারের সাথে আমার ও আমাদের সহকর্মীদের সম্পর্ক ছিলো ভাতৃত্বের, আন্তরিকতার আর দায়িত্ববোধের। স্যারের সময়জ্ঞান ও ন্যায়নিষ্ঠায় সকলে অবগত ছিলাম। স্যারের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিলো সর্ব বিষয়ে স্যারের অগাধ জ্ঞান, সমাজের কুসংস্কার দূরীকরণে তাঁর নীতি নির্ধারনী দিক নির্দেশনা মূলক রচনা সমাজে আজও পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে। স্যারের মত বিরল ব্যক্তিত্ব সর্বকালে সম্মানিত ও সমাদৃত।  গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় নগরীর জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমিতে কৃষ্ণ কুমার পাল চৌধুরী’র ২৫তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে গুণগ্রাহীবৃন্দের আয়োজনে কন্ঠশিল্পী, শিক্ষক ও আয়োজক কমিটির সদস্য শাশ্বতী ঘোষ সোমার পরিচালনায় ও কৃষ্ণ কুমার পাল চৌধুরী’র গুণগ্রাহীবৃন্দ কমিটির আহ্বায়ক জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।   সভার শুরুতে আবাহন সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রতিক এন্দ টনি, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্যসচিব ধ্রুব জ্যোতি দাস, কৃষ্ণ কুমার পাল চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য মাসুদা সিদ্দিকা রুহী, রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী সুকান্ত গুপ্ত, সভায় সমাপনী সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী, প্রশিক্ষক এবং আনন্দলোক এর পরিচালক রানা কুমার সিনহা।  বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক মিহিরকান্তি চৌধুরী, মদন মোহন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও লোকসাহিত্য গবেষক অধ্যাপক আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, লোকসাহিত্য গবেষক নন্দলাল শর্মা, গ্রীণহিল স্টেইট কলেজের অধ্যক্ষ ও এম সি কলেজের দর্শন বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান কবি প্রশান্ত কুমার সাহা, মদন মোহন কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক গ ক ম আলমগীর, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ও সুহৃদ সমাজ’র আহ্বায়ক ড. হিমাদ্রি শেখর রায়।  সভায় স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সিলেট জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল মিন্টু, খেলাঘর সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন চৌধুরী টুটুল, মহালয়া উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি মোহন বিশ্বাস, বাংলাদেশ বেতারের নাট্যশিল্পী কৃষ্ণা তালুকদার কণিকা, লিটলম্যাগ অরুণ আলোর অঞ্জলীর সম্পাদক ও আয়োজক কমিটির সদস্য সুমন বনিক, দি এইডেড হাই স্কুলের সুনিয়র শিক্ষক স্বপন চক্রবর্তী, ছড়াকার বিধূভূষণ ভট্টাচার্য প্রমূখ।  সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাচিকশিল্পী সুমন্ত গুপ্ত, সমাজসেবী অসিত কুমার সূত্রধর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রোটারিয়ান পীযূষ কান্তি পুরকায়স্থ, সমাজহিতৈষী রমাকান্ত গুপ্ত রূপু, কবি কাওসার ইমরান,ছড়াকার নিরঞ্জন চন্দ্র চন্দ, রাজনীতিবিদ মো: আবু তাহের, কবি ও আইনজীবি অনুজ রায় বাদল, কবি অঞ্জন পাল, উপাধ্যক্ষ কৃষ্ণপদ সূত্রধর, উদীচীর কন্ঠশিল্পী সন্দ্বীপ দেব, সুরমা খেলাঘর আসরের সম্পাদকমন্ডলীর অন্যতম সদস্য সুজন সরকার, সাংবাদিক শরীফ গাজী, রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী প্রভাতী সিংহ মজুমদার, স্যারের স্নেহধন্য ছাত্রী আফিয়া খাতুন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সিতাংশু বিশ্বাস, মহালয়া উদযাপন পরিষদের কোষাধ্যক্ষ হারাধন দেব প্রভাষ, ব্যাংক কর্মকর্তা দ্বীপক কুমার দাশ, রবীন্দ্র দেবনাথ, মো: কামাল হোসেন, সুখেন্দু কিশোর চৌধুরী, সাগর চৌধুরী, সজলকান্তি কর, দিপা রাণী কর, শান্তনু কান্তি কর, শুভা রাণী কর, রাখি রাণী কর, রেশমী দাশ, সাংবাদিক এমরান ফয়সল, সাংবাদিক লিটন চৌধুরী, প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র তপু মালাকার প্রমূখ।  আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদার, সদস্য সচিব ধ্রুব জ্যোতি দাস, সদস্য সুমন বনিক, শাশ্বতী ঘোষ সোমা, মাসুদা সিদ্দিকা রুহী আয়োজনে উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন