যুগভেরী ডেস্ক ::: আওয়ামী সরকারের পতন ঘটলেও সিলেটে বন্ধ হচ্ছে না যুবলীগ-ছাত্রলীগ নামধারীদের চাঁদাবাজি দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সিলেট শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় তাদের অপ-তৎপরতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সরকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় এখনো চালিয়ে যাচ্ছে নানা অপরাধ অপকর্ম। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সিলেট জেলা বারের একজন আইনজীবীও।
জানা গেছে, সিলেট শাহপরাণ থানাধীন শহরতলী বাইপাস রোড এলাকাস্থ হাজীরাই মৌজায় নিজের বাউন্ডারী করা ১.২০ একর ভূমির মালিক দখলকার সিলেট জেলা বারের এ্যাডভোকেট মকসুদ আহমদ সাহান। নিজ পিতা থেকে হেবা দলিল মূলে ওই ভূমির মালিক দখলকার হন তিনি। ভুমির বাউন্ডারী পিলার ও ফটকে মূল মালিক হিসেব তার পিতার নামও লেখা রয়েছে।
সম্প্রতি এই ভূমির উন্নয়ন ও মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন এ্যাডভোকেট মকসুদ আহমদ সাহান। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় যুবলীগ নামধারী স্থানীয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী একটি চক্র। তারা হচ্ছে-সিলেট জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি পরিচয় দানকারী মো: নজরুল মিয়া ওরফে নজরুল ইসলাম, নজরুলের সহযোগী আবুল কালাম ও লাল মিয়া।
নজরুলের গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জের তুরুকবাগ হলেও বর্তমানে সে নগরীর শাহজালাল উপশহর ই ব্লকের ৬নং রোডের ২১৪ নং বাসার বাসিন্দা। আবুল কালামের বাড়ি শহরতলী শাহপরাণ থানার মুরাদপুরে এবং লাল ওরফে প্রকাশ মিয়ার বাড়ি শাহপরাণ থানাধীন পীরের চকে।
এ্যাডভোকেট মকসুদ আহমদের অভিযোগ-জেলা যুবলীগ নেতা পরিচয়ে নজরুল-আবুল কালাম ও লাল দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাদা না দিলে তারা এ্যাডভোকেট মকসুদ পরিবারকে এই ভূমি ভোগদখল ও ভোগ ব্যবহার করতে দেবে না। এ বিষয়ে তিনি শাহপরাণ থানা পুলিশকে বারবার অবহিত করেও কোনো প্রতিকার পাননি। শাসকদলের নেতা পরিচয়ে নজরুল ও তার সহযোগীরা পার পেয়ে যায়। এ বিষয়ে আদালতে পৃথক মামলাও রয়েছে নজরুলদের বিরুদ্ধে। এতে করে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে কথিত যুবলীগ নেতা নজরুল ও তার সহযোগীরা।
এ্যাডভোকেট মকসুদ আহমদ আরো অভিযোগ করেন- গত সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নজরুল,আবুল কালাম ও লাল তাদের দলীয় ১৫/১৬ জন সশস্ত্র লোক নিয়ে তার বাইন্ডারীতে প্রবেশ করে পূর্বের ন্যায় আবারো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা এ্যডভোকেট মকসুদ ও তার পিতাকে ধাওয়া করে।
এডভোকেট মকসুদ আহমদ বিষয়ট মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সিলেট সেনানিবাসের অধিনায়ককে লিখিতভাবে অবহিত করে এর প্রতিকার দাবি করেন। তিনি এ বিষয়ে বর্তমান সরকারের আশু হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে নজরুল ইসলামের সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নিজেকে পদবীহীন যুবলীগ নেতা দাবি করে বলেন- চাঁদাবাজির সকল অভিযোগ মিথ্যা। এ্যাডভোকেট মকসুূদের দেওয়া চাঁদাবাজির ৪ টি মামলার রায় আমার পক্ষেই হয়েছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা