যুগভেরী ডেস্ক ::: হাসিনা সরকার পতনের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৮ জুলাই সন্ধ্যায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পানিতে পড়ে মারা যান, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্র রুদ্র সেন (২২)। এ ঘটনায় সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যঅ মামলা দায়ের করেছেন আন্দোলনের শাবিপ্রবি সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম। এ মামলায় মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেটের তিন সাবেক এমপিসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২০০-২৫০ জনকে। মামলার আসামিরা হলেন-সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট-৩ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত সরকার, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, পুলিশের মধ্যে আসামি হয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সাদেক দস্তগীর কাউছার ও জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ফরিদ উদ্দীন আহমদ, সাবেক প্রো-ভিসি কবির হোসেন, সাবেক প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী, ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সলর আফতাব হোসেন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সুমন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ ও সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা সজল দাস অনিক।
শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান, সাধারন সম্পাদক সজিবুর রহামন, সহ-সভাপতি মামুন শাহ, ফারহান রুবেল, তায়েফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া, মেহেদী হাসান স্বাধীন, সাইমুন ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন, তানিম খন্দকার, দেলোয়ার হোসেন, শফিউল রাব্বি, রেজাউল হক সিজার, ইউসুফ হোসেট টিটু, মনসুর আলম নিরব, লেকমান হোসেন, আর কে রাকিব হোসেন, শুভ সাহা, আশিকুর রহমান আশিক, ফারহান হোসেন চৌধুরী আরিয়ান, সানি শেখ, মোহাম্মদ তারেক, শিমুল মিয়া, আয়াজ চৌধুরী, অমিত সাহা, আব্দুল কাদির মোহাম্মদ রেদোয়ান, নুরুল ইসলাম, ময়নুল ইসলাম, আহমদ সাজন, হাসান আহমদ, জাহিদ সরোয়ার সবুজ, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মু. অকীল অপু, মো শাহজাহান, আপ্তাব হোসেন সিরাজী, অহিদ উদ্দিন দুলাল, রশিদ আহমদ, আব্দুল লতিফ রিপন, মুজিবুর রহমান মালদার, আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল, শাহনুর আলম, রুহিন আহসান খান ও আমির হোসেন খান।
জালালাবাদ থানার পরিদর্শক আবু খালেদ মো . মামুন, এসআই রেজওয়ান আহমদ, রনি চন্দ্র রায়, নিহারেন্দু তালুকদার, সুজিত সিংহ, অপূর্ব সিংহ, প্রনজিৎ ও সুমন।
মামলর বাদি শাবিপ্রবি সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মহানগর পুলিশের দুই কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের কয়েকজন এমপি, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানসহ ৭৬ জন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় এজহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। আদালত আমাদের সার্বিক অভিযোগ পর্যালোচনা করে সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করেন। নিহত রুদ্র সেন আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়।’
জানা যায়, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রুদ্র সেন আহতাবস্থায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সুরমা বাগবাড়ী এতিমখানা স্কুলের একটি খাল পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যান। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাবিপ্রবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা