যুগভেরী ডেস্ক ::: সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানা এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় দুই সহোদরকে হত্যাচেষ্টা মামলার অন্যতম দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ জুলাই) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছগির আহমদ এর আদালতে আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদন করলে ওই দুই আসামি জামিন আবেদন করলে, আদালত তাদের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন ।
কারাগারে প্রেরণকৃত আসামিরা হলেন, এসএমপি’র শাহপরাণ থানার বহর আবাসিক এলাকার মৃত ইসলাম উদ্দিনের ছেলে নুরু মিয়া ও বদদ্দুছ জামানের ছেলে শাহাব উদ্দিন ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বৎসর যাবৎ নুরু ও শাহাব উদ্দিন মিলে এলাকায় বিভিন্ন কৌশলে বে-আইনি ভাবে মাদক ব্যবসা/বিক্রয় করিয়া আসছে। এ নিয়ে বাঁধা নিষেধ করিলে মামলায় বর্ণিত বিবাদীগন অজ্ঞাতনামাদেরকে নিয়ে এলাকার লোকজনকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক রক্তাক্ত জখম করে। যাহার একাধিক প্রমাণাদি এলাকাবাসীর কাছে রয়েছে । বিগত কয়েক দিন যাবৎ জনসম্মুখে এলাকার লোকজনকে বিভিন্ন ধরনের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ জুলাই সন্ধ্যায় নুরু, শাহাব উদ্দিন ও তাদের লোকজন
মাদক বিক্রয় করিলে উক্ত বিষয়াদি দেখে মামলার বাদী আব্দুল আজিজসহ এলাকার লোকজন বাঁধা নিষেধ করেন। কিন্তু নুরু গং কোন আপত্তি না মেনে ইয়াবা, গাঁজা বিক্রয় করতে থাকে। তখন আব্দুল আজিজের বড় ছেলে আব্দুল আহাদ মুন্না (২৮), বাঁধা নিষেধ করলে তার কথার কোনো সদুত্তর না দিয়ে নুরু, সামাদ, শাহাব উদ্দিন মিলে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। বড় ভাইয়ের চিৎকার শুনে ছোট ভাই আব্দুল হালিম মোবারক (২০), ঘটনাস্থলে দৌড়াইয়া গেলে তাকেও মারপিট করে আহত করা হয়। এ ঘটনায় আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে শাহপরাণ (রহ.) থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ( মামলা নং ১৮(০৭)২৪ইং) দাখিল করেন । মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলো। তাই সোমবার নুরু, শাহাব উদ্দিন তাদের নিয়োজিত আইনজীবী সাব্বির আহমদের মাধ্যমে আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালতে জামিন শুনানী শেষে নুরু ও শাহাব উদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী পক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী সন্তুষ কান্তি ভট্টাচার্য।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা