এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জলাবদ্ধতার দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে সিলেটবাসী পরিত্রাণ চায়: বাসদ

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১৩ জুলাই, শনিবার, ২০২৪ ২৩:০৯:১৯
জলাবদ্ধতার দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে সিলেটবাসী পরিত্রাণ চায়: বাসদ

যুগভেরী ডেস্ক :::সিলেট অঞ্চলে বন্যা সমস্যা ও জলাবদ্ধতার স্হায়ী সমাধানের দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে অদ্য ১৩জুলাই শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় টুকেরবাজারে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।বাসদ সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসদ সংগঠক নুরুল আহমদ ,আনোয়ার হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর জাহেদ আহমদ, আনোয়ার হোসেন কুটি, সংগ্রাম পরিষদের আব্দুল্লাহ পারভেজ,সুমন মিয়া, হৃদয় আহমদ, সুমন আহমদ, জয়নাল আহমদ, প্রমূখ।

মানববন্ধন-সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৃষ্টি ও বন্যা প্রাকৃতিক হলেও সিলেটের জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী হলো অপরিকল্পিত নগরায়ন, পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে ভবন ও স্থাপনা নির্মাণ, নদী-খাল-হাওর দখল,ভরাট এবং যত্রতত্র রাস্তা নির্মাণ। কিছু মানুষের অনৈতিক সুবিধার জন্য লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ২০২২ সালের প্রলয়ংকারী বন্যার পর বাসদ এর পক্ষ থেকে জনগণের সহায়তা নিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।পাশাপাশি বন্যা সমস্যা ও জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য কনভেনশন থেকে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছি।কিন্তু সরকার যেমন সিলেট অঞ্চলের সমস্যাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে নি, সিটি কর্পোরেশনও কোন বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন করে নি। ফলে এবারও মানুষ জলাবদ্ধতার দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করছেন। আমরা সিলেটবাসীকে এই অবস্থার অবসান করতে আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

বক্তারা সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেট অঞ্চলের সকল নদনদীর পরিকল্পিত ড্রেজিং করা,সিলেট নগরীর খাল-ছড়া-ড্রেন প্রসস্থ ও গভীর করা, পুকুর-দীঘি-জলাশয় দখল-ভরাট বন্ধ করা-সময়মতো খনন করা,অপরিকল্পিত নগরায়ন-উন্নয়ন বন্ধ করা,হাওরের পানির গতিপথের সকল বাধা অপসারণ – হাওর খনন করা, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধ করা, প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের সকল আয়োজন রুখে দাঁড়ানো, সুরমা-কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

বক্তারা ,বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের বই,খাতাসহ শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ সরকারি উদ্যোগে নিশ্চিত করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্রুত সংস্কার করা, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করা,ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট দ্রুত সংস্কার করার আহ্বান জানান।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন