এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে ভারী বৃষ্টিতে-বন্যায় মানুষের ভোগান্তি!

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ০৩ জুলাই, বুধবার, ২০২৪ ১৪:৫৮:৩৫
সিলেটে ভারী বৃষ্টিতে-বন্যায় মানুষের ভোগান্তি!

যুগভেরী ডেস্ক ::: উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে তৃতীয়বার বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট। গত সোমবার (১ জুলাই) জেলার বিভিন্ন উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। তবে সিলেট মহানগরে এখনো বন্যা পরিস্থিতি হয়নি। তবে কিছু এলাকায় ভারি বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। এতে দুর্গত মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়ছে। ছবিটি আমাদের আলোচিত্রী রেজওয়ান আহমদ গত কাল ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার এলাকায় থেকে তুলেছেন।

সিলেটবাসীর এই ‍ভোগান্তি চলতি জুলাইজুড়ে থাকার শঙ্কা রয়েছে।আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, জুলাই মাস পুরোটাজুড়েই বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে জুলাই মাসে। এছাড়া দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এতে জুলাই মাস পুরোটাজুড়েই বৃষ্টি ও বন্যার ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, ‘এবারের বর্ষায় বৃষ্টি বেশি হবে এমন পূর্বাভাস আগেই দেওয়া হয়েছিল। জুনে বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। জুলাই মাসের প্রায় পুরো সময়জুড়ে সারাদেশে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলতে পারে।’এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসকের তথ্য মতে, জেলার ১৩ উপজেলায় ৯৭টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত। ১ হাজার ১৮৪টি গ্রামের ৭ লাখ ১১ হাজার ২২৬ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। জেলার ৬৫৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৪০৭ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৫টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১১৬ সে.মি. কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ৮৩ সে.মি, এ নদীর শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি ২৪, ৯৭ ও ১৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।মঙ্গলবার সকালে সারি ও সারিগোয়ান নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেন সন্ধ্যায় তা কমেছে। কমেছে অন্যান্য পয়েন্টের পানিও। আর রবিবার এগুলোর মধ্যে শুধু কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ছিলো বিপৎসীমার উপরে।সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেট গত ২৪ ঘন্টায় ২৯৮ মি.মি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ৪ দিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এমনটি হলে বন্যা পরিস্থিতি সিলেটে আবারও ভয়াবহ হবে।

 

প্রসঙ্গত- সিলেটে গত ২৭ মে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দুই সপ্তাহ ব্যাপী স্থায়ী এ বন্যায় পানিবন্দী ছিলেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। প্রথম বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই ১৫ জুন থেকে ফের বন্যার কবলে পড়ে এই জনপদ। বিশেষ করে ঈদুল আযহার দিন ভোররাত থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার অতিভারী বর্ষণে পানিবন্দি হন মহানগরসহ পুরো জেলার লাখ লাখ মানুষ। পরবর্তী এক সপ্তাহ বন্যা পরিস্থিতি ছিলো ভয়াবহ। এরপর পানি নামতে শুরু করে। তবে সে গতি ছিলো খুব ধীর। দ্বিতীয় দফা বন্যা শেষ হওয়ার আগেই গত সোমবার থেকে সিলেটে ধাক্কা দেয় তৃতীয় দফা বন্যা। রবিবার (৩০ জুন) দিনভর সিলেটে থেমে ও উজানে ভারী বৃষ্টির ফলে নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন