এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কমেছে বৃষ্টিপাত, সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ০৩ জুলাই, বুধবার, ২০২৪ ১৫:২৫:৪১
কমেছে বৃষ্টিপাত, সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

যুগভেরী ডেস্ক ::: সুনামগঞ্জে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টি হয়নি। একই সময়ে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি কম এসেছে। ফলে সুরমা নদীর পানি কমেছে। আজ বুধবার সকাল ৯টায় শহরের ষোলঘর পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপরে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ২৫ মিলিমিটার।

বন্যার পানিতে প্লাবিত থাকায় সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কে আজ সকাল পর্যন্ত সরাসরি যান চলাচল বন্ধ আছে। পানি নেমে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনো তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, সদর উপজেলার নিচু এলাকায়, লোকালয়ে, রাস্তাঘাটে পানি আছে। কিছু কিছু এলাকায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আছে।

সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আবার অবনতি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। হঠাৎ ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল নামায় গত রোববার থেকে আবার নদ-নদী ও হাওরে পানি বাড়তে শুরু করে। গতকাল সকালে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে যায়। অনেকের ঘরবাড়িতে দ্বিতীয় দফায় পানি ওঠে। তলিয়ে যায় রাস্তাঘাটও। বিশেষ করে দ্বিতীয় দফায় গত রোববার রাত থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। জেলায় দুই দিনে বৃষ্টি হয় ৪৭০ মিলিমিটার।

একই সময়ে সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয় ৪৫৪ মিলিমিটার। এতে জেলার সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। অনেক রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। শহরের সুরমা নদীর তীরবর্তী অনেক এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

বুধবার সকালে সুনামগঞ্জ সদরের পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, শহরে পানি কমলেও কিছু কিছু এলাকা এখনো ডুবে আছে। ভারী বৃষ্টি না হলে, পানি শিগগিরই কমে যাবে বলে আশা করি।

সুনামগঞ্জে চলতি মৌসুমে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় ১৭ জুন। এদিন বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩৬৫ মিলিমিটার। এরপরই পুরো জেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। তখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করলে গত রোববার রাত থেকে আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হয়।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন জানান, এবার তার উপজেলার সীমান্ত দিয়ে গত দুই দিন ব্যাপক পাহাড়ি ঢল নেমেছে। এ কারণেই পানি বেড়েছে। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে গতকাল পাহাড়ি ঢল কম নেমেছে বলে জানান তিনি।

সড়ক নিয়ে আফতাব উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাহাড়ি ঢল নামলেই সড়কের কয়েকটি স্থান প্লাবিত হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন উপজেলার বাসিন্দারা। কিন্তু এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কোনো উদ্যোগ নেই।

এদিকে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, গতকাল দিনে ও রাতে বৃষ্টি কম হয়েছে। তাই নদীর পানি কমছে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। উজানের ঢলের সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হলে পানি বাড়তে পারে।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন