এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ০২ জুলাই, মঙ্গলবার, ২০২৪ ২০:১৭:৩১

যুগভেরী ডেস্ক ::: সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিকস’র অঙ্গ সংগঠন সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ০২ জুলাই ২০২৪ মঙ্গলবার বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় সিম কোম্পানী গুলোর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি রোধ ও রির্চাজের টাকা মেয়াদ শেষে সিমে থাকা প্রসঙ্গে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বরাবরে (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতীয় যুব দিবস-২০১০ এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ মুখতার আহমেদ তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নাজমুল হুসাইন, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফুজায়েল আহমদ, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক পিযোষ মোদক, সিলেট মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রাসেল, প্রচার সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু, সমাজ সচেতন নাগরিকবৃন্দদের মধ্য থেকে ইকবাল হোসেন, এডভোকেট শাহেদ আহমদ ও আল ইমরান।

স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ প্রায় আঠারো কোটি মানুষের দেশে প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছেন। পৃথিবীর প্রায় দেশেই সময়ের পরিবর্তনে ও ব্যবসায়ীক প্রতিযোগিতার কারণে সিম কোম্পানীগুলোর মূল্য অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। পাশ^বর্তী দেশ ভারতেও কম মূল্যে মাসব্যাপি মোবাইল ব্যবহার করা যায় কিন্তু আমাদের দেশে সিম কোম্পানীগুলো উল্টে পথে হাটছে। এবছরের শুরু থেকে অদ্যবধি মিনিট ও এমবি রিচার্জে অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে মেয়াদ ভোগান্তি। প্রায়শই মোবাইলের সিমে থাকা টাকা, মিনিট ও এমবি মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই কেটে নেয় সিম কোম্পানীগুলো। মেয়াদ শেষ হতে পারে, তাই বলে আমার ব্যবহ্নত টাকা, মিনিট ও এমবি সিম থেকে কেটে নেওয়ার অধিকার সিম কোম্পানীগুলো রয়েছে বলে আমার সাধারণ জনগন মনে করি না। মেয়াদ শেষ হতে পারে, আমার সিমে থাকা টাকা, মিনিট ও এমবি নতুনভাবে রির্চাজের সাথে সাথেই ফিরিয়ে দিতে সিম কোম্পানীগুলো সদিচ্ছার প্রযোজন। একটি সাধারণ হিসেবে দেখা যায়, প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি লোকেরা সবাই যদি ২০ টাকা করে মোবাইলে রিচার্জ করি, তাহলে প্রায় এক দিনে কত কোটি টাকা কোম্পানিগুলো সিস্টেমের মাধ্যমে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। রিচার্জের মেয়াদ শেষে খরচ না হওয়া টাকা কি পচে যায়? তা না হলে পরবর্তী রিচার্জের সঙ্গে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না কেন? মোবাইলের সিম রিচার্জের মেয়াদ শেষে অব্যবহৃত মিনিট ও এমবি অপারেটররা কেটে নেওয়া এবং সিম কোম্পানীগুলোর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায়, গতমাসে ও এই মাসের মূল্যবৃদ্ধি মোবাইল ব্যবহারকারী সাধারণ জনগণকে কিংকর্তব্যবিমূড় করে ফেলেছে। কি কারণে সিম কোম্পানী এতো অস্বাভাবিক মাত্রায় মূল্য বৃদ্ধি করলো? তা তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু সমাধান, আপনার মাধ্যমে হবে বলে আমরা মোবাইল ব্যবহারকারীরা আশাবাদী। তাই সিম কোম্পানীগুলোর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ ও রির্চাজের টাকা মেয়াদ শেষে সিমে সুরক্ষিত থাকতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি। মোবাইল ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে ও সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সিম কোম্পানীগুলোর মূল্য হ্রাস করে পূর্বের মূল্য নির্ধারণ ও মেয়াদ শেষে সিমে টাকা থাকার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে আপনার মর্জি হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন