যুগভেরী ডেস্ক ::: দুয়ারে বর্ষা। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে আষাঢ় মাস। এই হিসাবে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ হবে আষাঢ়ের তৃতীয় দিনে।
এবার বর্ষা আসার আগেই আকাশে বেড়েছে মেঘের আনাগোনা। বৃহস্পতিবার থেকে সিলেটে ঝরছে অঝোর ধারার বৃষ্টি। ঈদের দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া এনিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকেই।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঈদের আগে ও পরে মিলিয়ে তিন দিন দেশের উত্তরপূর্ব ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। রাজধানী ঢাকাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদের পরেও সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে।
শুক্রবার (১৪ জুন) খুলনায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের তাপমাত্রা অন্যান্য জায়গার তুলনায় এখনো বেশি। খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি এবং মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল বাড়ছে। এই এলাকায় উজানে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে আগামী ৭২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল দ্রুত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, শনিবার (১৫ জুন) রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। তবে এই সময়েও চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা